ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাবিতে শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
উপাচার্য এবং প্রক্টর কার্যালয় ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উপাচার্যের সঙ্গে অশোভন আচরণ, ভিসি ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে রোববার সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত ২৩ জানুয়ারি ঢাবিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা জাতীয় নির্বাচনের আগে ষড়যন্ত্রের রিহার্সেল বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।তিনি মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এইসব কথা বলেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
মাকসুদ কামাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা ও ক্যাম্পাসে অরাজক পরিসিস্থি সৃষ্টির করার জন্য একটি।মহল এসব ষড়যন্ত্র করছে। যেকোনো ষড়যন্ত্র ঘরের ভেতরেও হতে পারে; বাইরে থেকেও হতে পারে। ভেতরে অনেক ছাত্র সংগঠন আছে, তাদের মদদপুষ্ট শিক্ষক রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এ ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। আমরা এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেব না। দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু, তার বিপরীতে আন্দোলনকারীদের যে বেপরোয়া মনোভাব দেখেছি, তাতে ধারণা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
অধিভুক্ত ৭ কলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৭টি কলেজ অধিভুক্ত হওয়ায় প্রশাসনিক কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। এখন সেটা ওয়েল স্ট্রাকচার করা হবে।’
ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সাহায্য কেনো নেয়নি- এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ‘ক্যাম্পাসের কালচার হলো পুলিশ আসলে তখন শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেয়- ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন, প্রশাসন জবাব দাও’। মূলত এ ভাবনা থেকেই শিক্ষক- ছাত্ররা মিলে সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবিও জানান তিনি। মানববন্ধনে শিক্ষকেরা দাবি করেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি গোষ্ঠী উঠে-পড়ে লেগেছে। বহিরাগতদের এনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তবে, ভবিষ্যতে কেউ অছাত্র, বহিরাগতদের দিয়ে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম মানববন্ধনে বলেন, তদন্তের মাধ্যমে আমরা যৌন নিপীড়ন কারীদেরও বিচারের আওতায় আনব। তবে এক্ষেত্রে আমরা অভিযোগকারীদের সহযোগিতা কামনা করি ।
শিক্ষার্থীদের ঘেরাও কর্মসূচির দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পিছনের দরজা দিয়ে নীরবে চলে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন পিছনের দরজা নেই আবার সামনের দরজাও নেই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় উন্মুক্ত।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা প্রমুখ।পিডিএসও/রানা