ভাষাসৈনিক হালিমা খাতুনকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন সাহিত্যিক ও ভাষা সংগ্রামী হালিমা খাতুন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হালিমা খাতুনের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযোদ্ধা, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীসহ সর্বস্তরের মানুষ ভাষা সংগ্রামী হালিমা খাতুনের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জেএসডি (নাজমুল হক প্রধান), সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর, ভাষা আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ, উদীচী, খেলাঘর, ছায়ানট, পেশাজীবী নারী সমাজ, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদসহ আরো অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে হালিম খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতির দাবিতে পশ্চিম পাকিস্তানে কারফিউ ভেঙে বের হওয়া নারীদের প্রথম মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন হালিমা খাতুন। হালিমা খাতুনের একমাত্র সন্তান আবৃত্তিশিল্পী প্রজ্ঞা লাবণী বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির পথ ধরে থেকে যাবেন হালিমা খাতুন। তার নাম উচ্চারিত হবে পরবর্তী প্রজন্মের কণ্ঠে।
৮৫ বছরের এ সংগ্রামী নারী হৃদরোগ, কিডনিসহ রক্তদূষণের মতো নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে মারা যান ৮৬ বছর বয়সী এই ভাষা সৈনিক।
পিডিএসও/তাজ