বাংলাদেশের পনিরের ৩ ছবি পেল পুলিৎজার পুরস্কার
সাংবাদিকতার নোবেল খ্যাত সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার পুরস্কারে প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছে এক বাংলাদেশির ফটো সাংবাদিকের নাম। মূলত এবার ফিচার ফটোগ্রাফি বিভাগে রয়টার্সের পুরো আলোকচিত্র বিভাগ পুলিৎজার জিতেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহাম্মদ পনির হোসেন আছেন এই তালিকায়।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়টার্সের এই বিজয়ী দলে রয়েছেন মোহাম্মদ পনির হোসেন, ড্যানিশ সিদ্দিকী, সো জেয়া তুন, দামির সাগোলিজ, আদনান আবিদি, হান্নাহ ম্যাককে ও ক্যাথাল ম্যাকনটন। পুরস্কারের জুরিবোর্ড রয়টার্সের ছবিগুলোকে ব্রেকিং নিউজ বিভাগের জন্য মনোনীত করে। কিন্তু পুলিৎজার পুরস্কার বোর্ড একে ফিচার বিভাগে নিয়ে যায়।
মোহাম্মদ পনির হোসেন বলেন, গত রাত একটার দিকে আমি জানতে পারি। এর কিছুক্ষণ পরই লন্ডন অফিস থেকে আমাকে নিশ্চিত করা হয়। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ওপর তোলা ছবিগুলোই এবার এই বিভাগে পুরস্কার পায়। পনিরসহ রয়টার্সের ৭ জন আলোকচিত্রীর ১৬টি ছবি এ পুরস্কারের তালিকায় আছে। যার মধ্যে পনিরের ৩টি ছবি রয়েছে।
পুরস্কার নিয়ে এই আলোকচিত্রী বলেন, সাংবাদিকতায় এ পুরস্কার অন্য রকম একটি ব্যাপার। খবরটি জানার পর এখনো ঘুমাতে পারিনি। তবে পুরস্কারের চিন্তা করে তো কেউ ছবি তোলে না। এ ধরনের জটিল পরিস্থিতিতে আলোকচিত্রীদের দক্ষতা দেখানোর জায়গা তৈরি হয়। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে পুরস্কার দেওয়া হবে। তিনি সেখানে যাবেন।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা এক রোহিঙ্গা মা তার মৃত শিশুকে জড়িয়ে চুমু খাওয়ার একটি ছবি বেশ আলোড়ন তুলেছিল। পনিরের তোলা সেই ছবিটিও পুরস্কারের তালিকায় আছে। পনির বলেন, ‘কাজের সময় তো আবেগ চেপে রেখেই কাজ করি। কিন্তু ছবিটির সম্পাদনার সময় আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। ওই সময়টাতে কাজ শেষে ফিরে ছবি সম্পাদনা করতে গিয়ে প্রতিদিন একটি গানই শুনতাম- ‘মানুষ মানুষের জন্য’।
প্রসঙ্গত পনিরের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে তিনি রয়টার্সের আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে নুর ফটো এজেন্সি ও জুমা প্রেসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
পিডিএসও/মুস্তাফিজ