হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ৩০ মার্চ, ২০২৪

বাঁশ ও বেতের জিনিসপত্র বিক্রি করে চলে মালেকের সংসার

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বাঁশ ও বেতের তৈরি গৃহস্থলী জিনিসপত্র বিক্রি করে সংসার চালায় আব্দুল মালেক (৫৮)। উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেকের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বাঁশ দিয়ে টুকরি বাঁশের খাঁচা, ঝাঁপি, কূলা, চালন, সাঁজি, চাল মাপার সের, খেলাধুলার টলি, ডালা, মাটি ঝারার চালন মাছ ধরার ছাইসহ প্রায় ২৩ প্রকার জিনিস তৈরি ও বিক্রি করছেন তিনি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

জানা গেছে, আব্দুল মালেক জীবিকার প্রয়োজনে এ পেশায় সংযুক্ত রেখেছেন দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে। বাঁশের ঝাঁপিতে প্রতিদিন নিজের স্বপ্ন বোনেন তিনি। তার তৈরি টুকরি পাইকারেরা কিনে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন। তা ছাড়া তিনি নিজে স্থানীয় বাজারে ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে এগুলো বিক্রি করেন। আর এ পেশার উপার্জনে সংসার চলে তার।

আব্দুল মালেক জানান, তিনি জন্মের পর থেকেই বাবা এবং নিজের পরিবারের কয়েক সদস্যকে বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে দেখেছি। তবে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বাজারে আসায় বর্তমানে বাঁশের তৈরি এসব জিনিসপত্রের চাহিদা অনেকাংশে কমে গেছে। আশপাশে কয়েক গ্রামের মধ্যে শুধু তিনিই এই পেশায় আছেন। অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। তিনি আরো জানান, বাঁশ জোগাড় করতে হয় বিভিন্ন জায়গা থেকে। নিজের গ্রাম থেকেও মাঝে মাঝে তিনি বাঁশ সংগ্রহ করেন। প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন তিনি। এতে সকল খরচ বাদে ৫০০-৭০০ টাকা লাভ হয় তার। তবে কোনো কোনো দিন বিক্রি কমও হয়। তারপরও বেতের জিনিসপত্র তৈরি করেই তা বাজারজাত করে নিজের সংসার চালোনোর জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রশিদ বলেন, এই পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় জড়িত। আব্দুল মালেকের বাবা ও দাদা এই পেশায় ছিলেন। এই পরিবারটি যেন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পায় সে জন্য আমি সার্বিক সহযোগিতা করবো।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর,বাঁশ ও বেতের তৈরি গৃহস্থলী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close