মেহেদি হাসান, পাথরঘাটা (বরগুনা)

  ২৭ মার্চ, ২০২৪

ক্রেতাদের বয়কটে পচছে তরমুজ, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

থরে থরে সাজানো রয়েছে রসালো তরমুজ। ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে তরমুজের বুক চিরে লাল অংশ কেটে বের করে রাখা হয়েছে। তবুও কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ক্রেতারা। রমজানের শুরু থেকেই তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফলে ক্রেতা সংকটে পড়ছে পাথরঘাটার তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

এদিকে চড়া দামে বিক্রি না হওয়ায় পচে যাচ্ছে অবিক্রিত তরমুজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তরমুজ পিস হিসেবে দাম কমিয়েও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না তারা।

রোজার শুরুতে উপজেলায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল তরমুজ। তবে বর্তমানে দাম কমিয়ে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, রমজানের একদিন আগে থেকে পাথরঘাটা বাজারে আসে গাঢ় সবুজ রঙের তরমুজ। মূলত এই তরমুজের জাত গ্রীষ্মকালেই ফলন হয়। অন্যান্য বছর এপ্রিলের শেষের দিকে বাজারে এ তরমুজ পাওয়া গেলেও এবার কিছুটা ব্যতিক্রম। রোজায় বেশি দর পাওয়ার জন্য কৃষকরা কিছুটা আগাম আবাদ করেছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অন্যান্য সময় পিছ হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও গেল কয়েক বছর রমজান থেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি শুরু হয়।

রোজার শুরুতে হাট-বাজারে প্রতিটি তরমুজের দর ছিল ২৫০-৮০০ টাকা পর্যন্ত। প্রথম দুদিন তরমুজ বেচাকেনায় স্বস্তিতে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল অনেক। অস্বাভাবিক মূল্য, অপরিপক্ক তরমুজ ও কেজিতে বিক্রির বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত ছিল। পরে কেউ কেউ রমজানে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয়। এর তারপর থেকেই তরমুজের বাজারে ধস নামে।

তরমুজ কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, কয়েকদিন ধরে তরমুজের দর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক মানুষ তরমুজ কেনা থেকে বিরত রয়েছেন। তাছাড়া উচ্চমূল্য দিয়ে তরমুজ কেনা সবার পক্ষে তো আর সহজ নয়।

পাথরঘাটা বাজারের তরমুজ বিক্রেতা মো. জাকির হোসেন জানান, তরমুজ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় ক্রেতা শূন্য বলা যেতে পারে। এতে লাভের বদলে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close