বগুড়া প্রতিনিধি

  ২৪ মার্চ, ২০২৪

হলুদের কারখানা সিলগালা 

বগুড়ায় গোখাদ্য ও রং মিশিয়ে হলুদ-মরিচর গুড়া বাজারে

বগুড়ার রাজাবাজারে মুন্সি হলুদ মিলে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

বগুড়ার রাজাবাজারে গো-খাদ্য ও রং মিশিয়ে খাবার অযোগ্য হলুদ-মরিচের গুড়া বাজারজাত করছিল মুন্সি হলুদ মিল। খবরে রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে অভিযান চালিয়ে কারখানা সিলগালা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর আগের বছর ধানের তুষ ব্যবহার এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হলুদ ও মরিচ গুড়া তৈরির অপরাধে জরিমানা করা হয়েছিল মুন্সি হলুদ মিলকে। এতেও টনক নড়েনি তাদের। এবার খাবার অযোগ্য মরিচ ও হলুদের সঙ্গে গোখাদ্য মিশিয়ে বাজারজাত করে আসছিল তারা। একই সঙ্গে হলুদ-মরিচ গুড়ার আকর্ষণীয় করতে ক্ষতিকারক রঙ মেশানো হচ্ছিল। রবিবার দুপুরে মুন্সি হলুদ কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান জেলা প্রশসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা সুলতানা ডলি। তবে অভিযান টের পেয়ে প্রতিষ্ঠানের সবাই পালিয়ে যান। এ সময় ১০ বস্তা পশুর খাদ্য, ৫ বস্তা মরিচ গুড়া, ৬ বস্তা হলুদ ও পোকামাকড় যুক্ত ১৩ বস্তা শুকনা মরিচ জব্দ করেন আদালত।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী খান, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল প্রসাদ রাজসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে জেলা পুলিশের টিম সহযোগিতা করে।


  • গত বছরের জরিমানা, সতর্কতার পরও হলুদ-মরিচর গুড়ায় জালিয়াতি
  • ১০ বস্তা পশুর খাদ্য, ৫ বস্তা মরিচ গুড়া, ৬ বস্তা হলুদ ও পোকামাকড় যুক্ত ১৩ বস্তা শুকনা মরিচ জব্দ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেবেকা সুলতানা ডলি বলেন, পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে বাজার তদারকি করতে শহরের রাজাবাজারে অভিযান চালানো হয়। পবিত্র ঈদ আসন্ন্ন, ঈদের সময় মশলার চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে মশলা তৈরির মিল মনিটরিং করতে গিয়ে মুন্সি হলুদ মিলে গিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মসলা তৈরি করতে দেখা যায়। এ ছাড়া গোখাদ্যের রঙ মিশিয়ে হলুদ ও মরিচ গুড়া তৈরি করছিল তারা। যা মানুষের স্বাস্থের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

রেবেকা সুলতানা আরো বলেন, গত বছরও মুন্সি হলুদ মিলে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সতর্ক হননি। এবার তাদের অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে। তাদের মসলার গুড়া তৈরি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর, দূরারোগ্য ব্যাধি তৈরি করবে।

পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী খান বলেন, ‘যেসব মরিচ জব্দ করা হয়েছে তা খাবার অযোগ্য, আর গোখাদ্যগুলোতে পোকামাকর বাসা বেঁধেছে। এসব ব্যবহার করে হলুদ মরিচ গুড়া তৈরি করছে মুন্সি হলুদ ঘর। তাদের কাউকে অভিযানে পাওয়া যায়নি, তবে মশলার মিল সিলগালা করে দিয়েছেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বগুড়া,রাজাবাজার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close