বান্দরবান প্রতিনিধি
অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হাতি উদ্ধার
বান্দরবানের লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি হাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ সময় উদ্ধার হাতির মাহুতসহ বিভিন্ন রকম কাঠও জব্দ করা হয়।
গত শনিবার উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার পালং খাল ও শীল ঝিরির মোহনা থেকে কাঠ জব্দ ও হাতি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হাতিটি সিলেটের মোমিন কোম্পানীর বলে জানান বন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সরই ও গজালিয়া ইউনিয়নের মঝামাঝি লেলুপালং এলাকার পাহাড়ে বড় গাছ কেটে হাতি দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছিল। পরে ওইসব কাঠ লোকালয়ে নিয়ে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছেন মারশেদ আলম চৌধুরী ও তার ম্যানেজার মো.রফিক নামের দুই ব্যক্তি। স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক বেলালের নির্দেশনায় লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম আতা এলাহি ও ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলামের নেতৃত্বে শনিবার সকাল থেকে দুপুরে পর্যন্ত লেমুপালং এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় অবৈধভাবে কাঠ পরিবহন কাজে ব্যবহৃত মাহুত সহ একটি হাতি উদ্ধার ও গর্জন, শিউলী, লালীসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ জব্দ করেন বন বিভাগ কর্মকর্তারা।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান, অবৈধভাবে কাঠ পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত পোষা হাতির মালিকের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইন ও কাঠ পাচার কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পিডিএস/এস