মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
মান্দায় অভিযোগ
রাস্তায় রডের মাপে কম, খোয়ার বদলে বালু-মাটি
নওগাঁর মান্দায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা সদর থেকে বিজয়পুর মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের রাস্তার কাজে মেসার্স নিরা-মুন্নী নামক ঠিকাদারী একটি প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামতো কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২ দশমিক ২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের রাস্তার কাজে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। রাস্তাটির দুপাশের মোট প্রশস্থ ৪ দশমিক ৮ মিটার। কিন্তু প্রশস্ত কাজের সাব বেইজ ও ডাবলু বিএম এ বালির পরিবর্তে ভরাট বালু দিতে দেখা গেছে। সাব বেইজে অর্ধেক বালু ও সমপরিমান খোয়া দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। খোয়ার পরিবর্তে সিংহভাগ ভরাট বালু ও মাটি ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। জিরো পয়েন্ট ফাইভ বালু ধরা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে ভরাট বালু। এই রাস্তার পাশে ৫০ মিটার প্যালাসাইটিং কাজেও ১২ মিলিমিটার রডের পরিবর্তে ৮ মিলি রড ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্যালাসাইটিং গাঁথুনীতে নিম্নমানের ইট ও সিমেন্টের ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
- ২ দশমিক ২৫ কিমি দৈর্ঘ্যের রাস্তার কাজে বরাদ্দ ১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা
- ১২ মিলি রডের পরিবর্তে ৮ মিলি রড ব্যবহার
- খোয়ার পরিবর্তে সিংহভাগ ভরাট বালু ও মাটি ব্যবহার
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকতারুজ্জামান নাঈম, সুশান্ত, মাহবুব আলম, রকিবুল ইসলাম রানাসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, রাস্তায় নিয়ম মেনে কোন কাজ করা হচ্ছে না। অভিযোগ করেও কোন কাজ হচ্ছে না। রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে খোয়ার পরিবর্তে ব্লাকটপ ব্যবহার করা হচ্ছে। অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এলজিইডির কর্তারা। তারা সবাই মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এর কয়েকদিন পরে তারা এসে আবার একইভাবে কাজ শুরু করেছে।
তারা আরো বলেন, মেসার্স নিরা মুন্নী নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তার কাজটি পাওয়ার পর অধিক লাভে তা বিক্রি করে দিয়েছেন। কাজটি ক্রয় করেছেন কয়েকজন সাব-ঠিকাদারসহ এক এলজিইডির সহকারি প্রকৌশলী। যার কারণে ইচ্চামতো কাজ করে যাচ্ছেন তারা। রাস্তাটি পূর্বের রাস্তার চেয়ে নিচু রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ব্লাকটপ কেটে রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজে ব্যবহার করছেন। তাদের সকলের দাবি এই রাস্তায় ভাল কাজ করা হোক।
মেসার্স নিরা মুন্নী এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারি নান্টু বলেন, ‘কাজটি পাওয়ার পর আমি তা বিক্রি করে দিয়েছি। কাজের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে বলেন, ‘নিয়ম মেনে সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে।’
পিডিএস/আরডি