শোভন আহমেদ, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)

  ১০ মার্চ, ২০২৪

ভেড়ামারায় সাত ঘণ্টার আগুনে পুড়ল ৪০০০ বিঘা পানের বরজ 

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় চার হাজার বিঘার পান বরজ। অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ১২টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সদস্যরা।

রবিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা গ্রামের জিআরপি ক্যাম্পের নিচে মিলন আলির পানের বরজে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে ভেড়ামারা ছাড়াও জেলার মিরপুর, কুমারখালি, কুষ্টিয়া সদর, পাবনার ঈশ্বরদী, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গাসহ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি দল টানা ৬ ঘণ্টা আগুন নিয়ন্ত্রণে অংশ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আগুনে প্রায় ১০ কিলোমিটার পানের বরজ পুড়ে গেছে। প্রথমে কোনোভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। আগুনের লেলিহান শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লাগে। আশপাশের এলাকা থেকে লেপ, কাঁথা, কম্বল, খাদ্যশস্য, গবাদি পশুর সরিয়ে নেওয়া হয়। গ্রামের লোকজন অসহায়-সম্বল রক্ষায় চারিদিকে ছোটাছুটি করতে দখো যায়।

ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, আগুন যখন কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না, তখন কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদীর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে নির্বাপন কর্মীরা আসে।


  • কৃষকদের দাবি ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি, স্থানীয় এমপির ধারণা ১০০ কোটির বেশি
  • পুড়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার পানের বরজ, আক্রান্ত ঘরবাড়িও
  • ১২টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ৬ ঘণ্টার চেষ্টায় নির্বাপন

আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের কমবেশি ১২ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে রায়টা, আরকান্দি, মাধবপুর, গোসাই পাড়া, মালিপাড়া, মেঘনাপাড়ার ছয়টি গ্রাম আগুনে আক্রান্ত হয়েছে। আগুন আতঙ্কে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সেটা ২০০ কোটিরও বেশি। সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকে এখন দিশেহারা।

স্থানীয় পান ব্যবসায়ী গোঁসাইপাড়ার সাহেব বলেন, তিনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি কৃষকদের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার পান বরজ কিনেছিলেন, তা অনেকটাই আগুনে পুড়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক রফিকুজ্জামান বলেন, ‘পান বরজে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করি। এলাকাবাসী সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, আগুনে প্রায় ৪ হাজার বিঘার পান বরজ পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমরা নিরূপণ করতে পারি নাই।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) কামারুল আরেফিন বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটির ওপর। এটা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য এক মহাবিপর্যয় ছিল। সরকার অবশ্যই কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে। কেউ অন্যায়ভাবে আগুন লাগালে আল¬ায় তার বিচার করবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কুষ্টিয়া,ভেড়ামারা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close