দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

  ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

ভিডিও ভাইরাল

প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে সিল, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ 

ছবি: সংগৃহীত

ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে অনবরত সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরছেন দুই ব্যক্তি। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দেশ জুড়ে তোলপাড় চলছে। ভিডিওটি গত রবিবার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালী-১ আসনের দুমকীর একটি ভোটকেন্দ্রে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ওই দিন বিকেল থেকে ৭ মিনিটের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুমকী উপজেলার জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে (পুরুষ) সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সামনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরতে দেখা যায়। সিল মারায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন, মো. জসীম সিকদার, তিনি শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি । তবে তিনি মশাল প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ওই বুথে ছিলেন। অন্য জন মো. আবুল বাশার ডাক্তার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের ওই বুথের এজেন্ট ছিলেন।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তার সামনেই মো. জসীম সিকদার (কালো ব্লেজার পরা) ব্যালটের মুড়ি নিয়ে গোপন কক্ষে চলে যান ও সেখানে বসে অনবরত ব্যালট পেপারে টিপসই দিয়ে আবার চলে এসে ওই পেপারেই সিল মারতে থাকেন। এছাড়া তার সামনেই আবুল বাশার (পাঞ্জাবি পড়া) ব্যালট পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল বাশার ডাক্তার বলেন, ‘আমি লাঙ্গলের এজেন্ট ছিলাম। কিন্তু জসীম মশালের ছিলেন। আমার কাছে হেল্প চাইছে, পরে আমি গিয়ে কয়েকটা পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছি।’

তবে অভিযুক্ত জসিম শিকদার এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি শুধু আমার ভোটটা দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও।’

ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘কিছু লোক জাল ভোট দিতে আসলে আমি প্রিজাইটিং কর্মকর্তাকে জানালে সে বলেন আপনি আপনার জায়গায় বসে থাকেন তাদের কাজ তারা করুক ও পরিস্থিতির কারণে আমি ব্যালট দিতে বাধ্য হয়েছি।’

ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আ. ছাত্তার বলেন, ‘আমি শুনেছি এরকম ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমি তখন নামাজে গিয়েছিলাম।’ ওই সময়ে নামাজের কোনো ওয়াক্ত ছিল কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি না ও আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে সত্যতা জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পটুয়াখালী,দুমকী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close