চাঁদপুর প্রতিনিধি

  ১০ জানুয়ারি, ২০২৪

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা

বছর জুড়ে নিষিদ্ধ, তবু প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়ে জাটকা ইলিশ ধরা নিষেধ। কিন্তু চাঁদপুর শহরের একাধিক বাজার ও পাড়া-মহল্লায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এই মাছ। মৎস্য বিভাগের অংশগ্রহণ ছাড়াই থানা ও নৌ-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাটকা ধরা ও বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা কাজে আসছে না। জাটকা ধরা ও বিক্রি অপরাধ মনে করেন না অনেক মাছ ব্যবসায়ী।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কালিবাড়ী মন্দির সংলগ্ন চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া গত কয়েকদিন জেলা শহরের পালবাজার এলাকা ও ওয়ারলেছ বাজারে প্রকাশ্যে জাটকা বিক্রি করতে দেখা গেছে একাধিক মাছ ব্যবসায়ীকে। জাটকা ধরা ও বিক্রি করা অপরাধ মনে করেন না তারা।

সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বছর জুড়েই জাটকা ধরা নিষেধ। এছাড়া ইলিশ ডিম ছাড়ার পর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ। এর মধ্যে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষেধ থাকে।

এদিকে মৎস্য বিভাগের অংশগ্রহণ ছাড়াই থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ যে কোনো সময় নিজেরাই অভিযান করতে পারেন। এক্ষেত্রে আইনে বলা আছে, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তার ওপরের পদের কর্মকর্তারা জাটকা আহরণকারী ও বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে পারবেন।


  • একেবারে ছোট আকারের জাটকা ৩২০ টাকা ও একটু বড় আকারেরগুলো ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি।
  • থানা ও নৌ-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা কাজে আসছে না

বুধবার চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার দোকানঘর এলাকার জাটকা বিক্রেতা মো. নুরুল আমিন জানান, জেলার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া এলাকা থেকে তিনি জাটকা কিনেছেন। জেলেদের কাছ থেকে দুই ভাগে জাটকা কিনেছেন ৭ হাজার ৫০০ টাকায়। সব জাটকা দৈর্ঘ্যে দশ ইঞ্চির কম। এর মধ্যে একেবারে ছোট আকারের জাটকা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩২০ টাকা এবং একটু বড় আকারেরগুলো বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, জাটকা বিক্রির বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। চাঁদপুরের জেলেদের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলের জেলেদের আহরণ করা জাটকা চাঁদপুর শহরে বিক্রির জন্য আসে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, জাটকা ধরার খবর আমাদের কাছে এসেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত ছিল। এখন আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করব। কেন্দ্রীয়ভাবে মৎস্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ভার্চুয়ালি একটি সভা ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মৎস্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশ যুক্ত থাকবে। এই সভার পরেই আমরা অভিযানে নামব।

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাঁদপুর,জাটকা,পদ্মা,মেঘনা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close