হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ও বহরা ইউনিয়নের পাঁচ-ছয়টি গ্রামের মানুষের সোনাই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন কয়েকশ মানুষ চলাচল করে থাকে এই সাঁকো দিয়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাঁকোটি দিয়ে শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণির মানুষ সাঁকোটি ব্যবহার করে আসছে। মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ের মুরাদপুর এলাকায় সোনাই নদীর ওপর সেতু দাবি ৫ গ্রামের মানুষের।

উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের সোনাই নদীর মুরাদপুর ও বহরা ইউনিয়নের মুরারচর খেয়াঘাটে একটি সেতুর দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। উপজেলার আন্দিউড়া ও বহরা ইউনিয়নের ৫ গ্রামের মানুষ এ ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন নদী পার হয়। সেতুর দাবি পূরণ না হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা।

বহরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলা উদ্দীন জানান, দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার বহরা ইউনিয়ের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে সোনাই নদী পারাপার হয়।

আলা উদ্দীন আরো জানান, সোনাই নদীর একটি সেতুর অভাবে ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে। বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন এ অঞ্চলের জনসাধারণ। নদীর ওপর যে বাঁশের সাঁকো রয়েছে সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে নদীর দুই পারের বাসিন্দারা এর সুফল ভোগ করবে। সেতুটি শীঘ্রই যাতে নির্মাণ হয় সে ব্যাপারে তিনি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছেন টেন্ডার ও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তিনি আশা করেন অতি শীঘ্রই এখানে ব্রীজ স্থাপন করা হবে।