নুর নবী রবিন, চবি
শিশু আয়াতকে হত্যা করা হয়েছে
পাঁচ বছরের আলিনা ইসলাম আয়াত। ১৫ নভেম্বর মক্তবে গিয়ে আর ফেরেনি বাসায়। এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজির পর অভিযোগ যায় থানায়। ১০ দিনের মাথায় আবির আলী নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর জানা যায়, আয়াতকে ছয় টুকরো করে নদীতে ফেলে দেয় সে। তার তথ্য মতে, আয়াতের জামা-জুতা উদ্ধার করে পুলিশ। সেসব দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। মূর্ছা যান আয়াতের মা।
চট্টগ্রাম নগরীর ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। এর পর দিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সিইপিজেডের আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে আয়াতদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মরদেহ ছয় টুকরো করে সাগর পাড়ে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। গ্রেপ্তার আবিদ আলী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নাঈমা সুলতানা আরো বলেন, মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকালে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ ছয় টুকরো করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি। মরদেহ টুকরো করার কাজে ব্যবহার করা বটি ও এন্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।