চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিমের হার্টে ছিদ্র, সহযোগিতা কামনা
পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের কাজীপাড়া মহল্লার মিরাজ উদ্দিনের মেয়ে নাফিজা লুবাবা মিম (১২) অর্থের অভাবে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মিমের হার্টে ছিদ্র ধরা পড়েছে।
মিম ২০২১ সালে কাজিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশ করেছে।
পেশায় মিমের বাবা মিরাজ উদ্দিন একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। মা আমেনা খাতুন গৃহিনী।
অসুস্থ মিমের পিতা মিরাজ উদ্দিন জানান, নিজ বসতভিটা না থাকায় প্রায় ১৫ বছর যাবৎ কাজিপাড়া মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন তারা।
দুই মেয়ে ও স্ত্রীসহ চারজনের সংসারের অনেক কষ্টে ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে হয় তাকে। কোন জমিজমাও নেই অসুস্থ মিমের বাবার।
এদিকে করোনা শুরু হওয়ার পর তার কাজকর্মেও আয় কমে যায়। গত প্রায় চার বছর হচ্ছে মিম অসুস্থ হয়ে চিকিৎসার অভাবে ভুগছে।
অনেক কষ্টে পাবনায় চিকিৎসক খলিলুর রহমানের নিকট মেয়েকে কোনমতে চিকিৎসা দিচ্ছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মিমকে ঢাকায় ভালো হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলা হয়েছে। অর্থের অভাবে মেয়েকে ঢাকায় চিকিৎসা দিতে পারছেন না বাবা। স্থানীয় চিকিৎসকের নির্দেশনায় ওষুধ খাওয়াতেও হিমশিম খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে মিমের।
অর্থাভাবের পাশাপাশি করোনার ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় মিমকে এখনো ঢাকায় ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
সম্প্রতি মেয়েটি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ও পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে জানা গেছে, মিমের হার্ট ছিদ্র হয়ে আছে। এজন্য তাকে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। এ অপারেশন করাতে প্রায় চার লাখ টাকা প্রয়োজন। যা যোগাড় করা অসহায় গরীব পিতার পক্ষে অসম্ভব।
বুকফাটা কান্নায় পিতা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য দেশবাসী সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অসুস্থ মিম বলে, এই সুন্দর পৃথিবীতে আমার হয়তো বেঁচে থাকা হবে না, হবে না আমার লেখাপড়া। আমার বাবার পক্ষেও সম্ভব না এ টাকা জোগাড় করা। বেঁচে থাকার জন্য মিম সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।