পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অধিক লাভের আশায় আগাম তরমুজ চাষ করছেন তারা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাঙ্গাবালীতে বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা জমি চাষ, মাটিকাটা বেড তৈরি, ম্যাদা তৈরি এবং মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

বড়বাইশদিয়া এলাকার তরমুজ চাষি মিরাজ মাহমুদ বলেন, গত বছর আগাম তরমুজ দিয়ে লাভবান হওয়ায় এ বছরও আগাম তরমুজ চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ১০ একরেরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করব। শুরুতেই ২ একর জমি বীজ বপনের জন্য তৈরি করছি।

মৌডুবী ইউনিয়নের জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত-সংলগ্ন বালুচরের তরমুজ চাষিরা জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সৈকতের পুরো বালুচরে তারা আগাম তরমুজ চাষ করছেন।

জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত-সংলগ্ন বালুচরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রৌদ্র আর উত্তপ্ত গরম বালুতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অধিক ফলনের আশায় তরমুজ ক্ষেতের পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন বালুচরের তরমুজ চাষিরা।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, তরমুজ চাষ আগাম করার কারণে আমাদের কৃষকরা বেশি লাভবান হন। তাছাড়া আগাম চাষের কারণে তারা বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা আগাম তরমুজ চাষিদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন।