সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

  ১১ জুন, ২০২১

ধর্ষিতার সন্তান প্রসব, মামলা হয়নি বললো পুলিশ

প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার তৈলকুপি গ্রামে দিনমজুরের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সদ্যোজাত ওই শিশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ওই শিশুকে অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হচ্ছিল। তবে তাৎক্ষণিক জানাজানি হওয়ায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি।

ধর্ষিতার মা জানান, আমি ও স্বামী দিনমজুরের কাজ করি। আমরা বাড়িতে খুব বেশি থাকি না। ১৪ বছর বয়সী মেয়ে বাড়িতে একা থাকে। মেয়ে বলেছে, প্রতিবেশী শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে হযরত আলী (২২) এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।

তৈলকুপি গ্রামের স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম বলেন, সন্ধ্যার পর আমি তাদের বাড়ি যাই। প্রসব বেদনায় ছটফট করছিল মেয়েটি। পরে একটি ছেলে সন্তান হয়। মেয়েটির বিয়ে হয়নি, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাচ্চাটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য নির্দেশ দেয়। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হলে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলে যায় পুলিশ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম কুমার জানান, বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ খাইয়ে বাচ্চাটিকে ডেলিভারি করানো হয়েছে। আট মাসের বাচ্চা এখনো পূর্ণাঙ্গতা পায়নি। জন্মের পরই অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল, সেটি দেওয়া হয়নি। তাছাড়া বাচ্চাটিকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন ওজন মাপার জন্য মিটারে রাখতে বলা হয়। তখনো বাচ্চাটিকে মিটারের উপর ফেলে দেয়। এ ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে যায় সবাই। শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পিডিএসও/ইউসুফ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ধর্ষিতা,অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী,পুত্র সন্তান,প্রসব
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close