গাইবান্ধা জেলা শহরে যানজট নিরসনকল্পে ফোরলেন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সে মোতাবেক জেলা শহরের ১নং রেলগেট থেকে পূর্বদিকে ডিবি রোড, কাচারী বাজার, পুরাতন জেলখানা ও পুরাতন বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশের দোকানপাটসহ সকল অবকাঠামো অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে রাস্তার দু’পাশের পুরাতন বড় বড় গাছপালা কেটে অপসারণ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি স্থানান্তরের কাজও পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়ক থেকে ডিবি রোড, পুরাতন জেলখানার মোড় হয়ে পুরাতন বাজারের পূর্বদিকের গেট পর্যন্ত ফোরলেন প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বদিকে বালাসীঘাট এবং পশ্চিমদিকে পলাশবাড়ি উপজেলা মোড় পর্যন্ত পুরাতন সড়কটি আরও সম্প্রসারিত হবে।

এদিকে বাসটার্মিনালের পশ্চিম পাশ থেকে ডিভাইডারসহ ডিসি অফিস হয়ে পুলিশ সুপারের অফিস পর্যন্ত ফোরলেন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং পলাশবাড়ি উপজেলা পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। গাইবান্ধা সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রোকৌশলী আসাদুজ্জামানের সার্বিক প্রচেষ্টা ও তত্ত্বাবধানে এবং উপ-সহকারী প্রোকৌশলী আপেল মাহমুদের সহযোগীতায় কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

জেলা সড়ক জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা শহরের যানজট নিরসনে ১৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ফোরলেন প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে শুধু নির্দিষ্ট এলাকার সড়ক ৬৬ ফুট প্রশস্থ করে ফোরলেন করা হবে। এছাড়া সড়কের উভয় পাশে পথচারী চলাচলের জন্য ফুটপাত, সড়কের মাঝে ডিভাইডার ও তাতে সুন্দর নান্দনিক ফুলের বাগান এবং বড় মসজিদ সংলগ্ন মোড়ে একটি গোল চত্বর ও দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাও গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহন এবং জমি সংলগ্ন অবকাঠামোর মূল্য পরিশোধ বাবদ ব্যয় হবে মোট ১১০ কোটি টাকা। ফলে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং অধিগ্রহণকৃত জমি ও জমি সংলগ্ন অবকাঠামোর মূল্য পরিশোধ করার কাজও অব্যাহত রয়েছে।

পিডিএসও/এসএম শামীম