করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গণপরিবহনসহ যাবতীয় যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফরিদপুর শহরে আটকা পড়েছিল নাটোর, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ১৯৮জন দিনমজুর।

চলমান পরিস্থিতির কারণে কাজও বন্ধ হয়ে যায় তাদের। সকলে জড়ো হয়েছিল ফরিদপুর শহরতলীর নূরু মিয়া বাইপাস এলাকার ব্রাহ্মনকান্দা এলাকায়। ওইখানে নির্মাণাধীন কয়েকটি দোকানে গাছের তলায় কাটছিল তাদের রাত। কাজ না পাওয়ায় হাতে কোনও টাকা পয়সা ছিল না। টাকা থাকলেওই উপায় ছিল না কিনে কিছু খাওয়ার, কেননা সকল খাবার হোটেলও বন্ধ। সব মিলিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন ওই শ্রমিকগণ।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল বাগরাইল গ্রামের তামিজউদ্দিনের ছেলে দিন মজুর নাবিউল ইসলাম (৩৩) জানান, তিনি ১২দিন ধরে ফরিদপুরে এসেছেন। গত দুইদিন ধরে কোনও কাজ পচ্ছেন না। বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না বাস না চলায়। তিনি আরও জানান, বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে, তারা কীভাবে আছে জানিনা। তাই বাড়ি যেতে চাই।

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম শুক্রবার নূরুমিযা বাইপাস এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওই দিনমজুরদের কথা জানতে পারেন। তিনি শুক্রবার রাত থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

শনিবার তার মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের তিনটি বাসে করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

বাসে ওঠানোর আগে প্রত্যেক শ্রমিকদের হাত ধোযানো হয় সাবান দিয়ে, দেওয়া হয় মাক্স এবং একশ করে টাকা। দুপুরে তিনটি বাস রওনা হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে।

চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম বলেন, এ কাজে তাকে সাহায্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এবং পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান।