পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

পলাশে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গ্রাম্য সালিশে বিয়ে

নরসিংদীর পলাশে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা আইনের আশ্রয় নিতে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে আপস মীমাংসার নামে ওই শিক্ষার্থীর বয়স গোপন করে ধর্ষকের সঙ্গে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দেন।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর পরিবার নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে আইনগত সহায়তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিলে নড়েচড়ে বসে জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ভুক্তভোগীর মা জানান, গত ১৪ তারিখ শুক্রবার রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি উরস শরিফের অনুষ্ঠানে যায় ওই ছাত্রী। অনুষ্ঠানের ফাঁকে সে একটি দোকানে গেলে পলাশ উপজেলার পলাশের চর গ্রামের আবদুল বাছেদের ছেলে মো. সম্রাট মিয়া, তার দুই সহযোগী নয়ন ও আকরামের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরদিন শনিবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে অচেতন অবস্থায় সম্রাটের বাড়ি থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে সব ঘটনা খুলে বলে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার আইনের আশ্রয় নেওয়ার আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মনিরুজ্জামান আজাদের কাছে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, আইনি সহযোগিতা নিলে সমস্যায় পড়তে হবে। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর বয়স গোপন করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে দেন।

পরে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে একই দিন বিকালে সম্রাট ও তার দুই সহযোগীর নামে পলাশ থানায় একটি মামলা করা হয়। এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
পলাশ,গ্রাম্য সালিশ,ধর্ষণ,স্কুলছাত্রী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close