কক্সবাজার প্রতিনিধি

  ১৬ জানুয়ারি, ২০২০

কক্সবাজারের প্রধান সড়ক নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ

স্থাপনা ভাঙলেও ক্ষতিপূরণ নেই

কক্সবাজার পর্যটন শহরের প্রধান সড়ক সম্পূর্ণ নতুন করেই নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। প্রধান সড়ক সংস্কার নয়, নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)-এর পরিকল্পনায় এই সময়ের মধ্যে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে। স্থাপনা ভাঙলেও মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ের সচিবের অধীনে হওয়া কমিটি গত ১২ জানুয়ারি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে বলে জানা গেছে।

কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেছেন, শহরের হলিডে মোড় থেকে লারপাড়া পর্যন্ত ৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির দুই পাশ থেকে কাজ শুরু করা হবে। মানুষের যেন ভোগান্তি না হয় সেই দিকে নজর রেখে কাজ করা হবে।

তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, কক্সবাজারবাসীকে আরও অন্তত দুই বছর কষ্ট পেতে হবে। এখানে ১২টি কালভার্ট রয়েছে। দুইপাশের নালা ও ফুৃটপাত রয়েছে। সব কাজ একত্রে শুরু করলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই যতদূর সম্ভব রাতে কাজ করব। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুইশ কোটি টাকা।

তিনি দাবি করেন, প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করেই পাশ করে দিয়েছেন। কিন্তু পদ্ধতিগত কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।

কউক চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক নির্মাণের জন্য নতুন করে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। সড়কের উভয় পাশে সওজের নামে জমি অধিগ্রহণ করা রয়েছে। সেই জমিতেই সড়ক নির্মাণ করা হবে। সওজের জমিতে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো অবৈধ। এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকদের নির্মাণ কাজ শুরুর এক সপ্তাহ আগে নোটিশ দেবে কউক। এতে কাজ না হলে স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। গুঁড়িয়ে দেওয়ার ব্যয়ভার বহন করতে হবে ভবন মালিকদের।

ইতোমধ্যে সড়ক নির্মাণের প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে কনসালটেন্ট নিয়োগের কাজ। এরপর ধাপে ধাপে টেন্ডার আহ্বান, যাচাই পরবর্তী কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। এর আগে কয়েকদফা সড়ক সংস্কার কাজ চালানো হবে। যাতে বর্তমান সড়ক চলাচল উপযোগী থাকবে।

তিনি বলেন, পুরো সড়ক নির্মাণ কাজ এক সঙ্গে শুরু করা হবে না। প্রথমে অর্ধেক অংশে সড়ক নির্মাণ করা হবে। সেই সড়ক খুলে দেওয়া হবে যানবাহন চলাচলের জন্য। এরপরই বাকি অর্ধেক অংশে নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি নির্মাণের আগে সরিয়ে ফেলা হবে সড়কের উপর থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটি। এই বিষয়ে কউকের সাথে পিডিবির আলাপ শুরু হয়েছে। পিডিবির খুঁটি সরালেও এর ব্যয়ভার বহন করতে হবে কউককে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কক্সবাজার,কউক,জমি অধিগ্রহণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close