reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সিংহ ও ভালুক শাবকের জন্ম

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো ভালুক শাবকের জন্ম হয়েছে। ভালুকের পরিবারে নতুন শাবক জন্ম নেওয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভালুক ঘিরে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন। এছাড়া একই পার্কে সিংহের পরিবারেও এসেছে নতুন শাবক।

গত শনিবার ভালুক শাবকটির জন্ম হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার সন্ধ্যায় খবরটি গণমাধ্যমে জানান।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, শনিবার কোর সাফারির আফ্রিকান সাফারি পার্কের ভালুকের বেষ্টনীর গর্তের ভেতর বাচ্চার শব্দ শোনা যায়। পরে দেখা যায় গর্তের মধ্যে একটি মা ভালুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে।

এরপর থেকেই পার্কের কর্মকর্তারা গর্তের মধ্যেই মা ভালুককে খাবার দিচ্ছেন। মা ভালুক বাচ্চার প্রতি খুব বেশি সতর্ক থাকে ও হিংস্রতা দেখায়। তাই গর্তের ভেতর অবস্থান করা ভালুকের কয়টি বাচ্চা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তাছাড়া তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাছে যাওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চার সংখ্যা জানতে চেষ্টা করা হবে। ভালুক সাধারণত একসঙ্গে এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। ভালুকের পালে প্রথমবারের মতো বাচ্চার জন্ম হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

তবিবুর রহমান আরো জানান, সিংহ পরিবারেও নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। সোমবার দুপুরের দিকে সিংহের বেষ্টনীতে মা সিংহকে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। সিংহ শাবকের জন্মের সময় সাধারণত চোখ ফুটে না।

এদের চোখ ফুটতে ৩-১১ দিন সময় লাগে। নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটির চোখ ফুটে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে শাবকটির বয়স অন্তত ১৫ দিন। জন্মের সময় এদের ওজন ১-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় সিংহ শাবককে জঙ্গলের আড়ালে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে এবং সেখানে অন্য সঙ্গীদের পর্যন্ত যেতে দেয় না।

শাবকরা ১০-১৫ দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খাওয়ানো শেখানো হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে। এদের প্রধান খাদ্য গো মাংস ও প্রতি শুক্রবার জীবিত খরগোস দেওয়া হয়।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভালুক,শাবক,বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক,সিংহ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close