reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৩ জুন, ২০১৯

আগাম ঈদ ২০ গ্রামে

দিনাজপুরের পাঁচটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদর, বিরল, চিরিরবন্দর, কাহারোল ও খানসামা উপজেলার ২০টি গ্রামের ৭-৮ পরিবারের কয়েক হাজার মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।

সৌদিতে মঙ্গলবার ঈদ হলে বাংলাদেশের এই ২০টি গ্রামের মানুষ ঈদ পালন করবেন। অর্থাৎ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন তারা।

দিনাজপুর শহরের লালবাগ, চাউলিয়াপট্টি, রামনগর, সদর উপজেলার নয়নপুর ও গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার মুসল্লিরা চাড়ুবাবুর মোড়ের পার্টি সেন্টারে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এখানে ঈদের নামাজের জামাতের ইমামতি করবেন শাইখ মতিউর রহমান দিনাজপুরী।

এছাড়া চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতারা রাবার ড্যাম গ্রামে, ফতেহ জংপুর, রানীরবন্দর, কাহারোল উপজেলার মুকন্দপুর, গড়েয়া, ভবানীপুর, বিরল উপজেলার বালান্দর, পাঁচপাড়া, মাদববাটি ও খানসামা উপজেলার পাকেরহাট গ্রামসহ পাঁচটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ আগাম ঈদের নামাজ আদায় করবেন। সবচেয়ে বড় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে চিরিরবন্দরের রাবার ড্যাম এলাকায়। দ্বিতীয় ঈদের নামাজের জামাত হবে দিনাজপুর শহরের পার্টি সেন্টারে।

নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবায় সৌদির সঙ্গে একই দিনে ঈদ পালন করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সবাইকে একই দিনে ঈদ পালন করার আহ্বান জানাবেন ইমামরা।

প্রতি বছর আগাম ঈদ পালন করেন রানীরবন্দর নশরতপুর এলাকার ইশবউদ্দিন। তিনি বলেন, সৌদিআরবের সঙ্গে মিল রেখে সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ উদযাপন করা উচিত। সৌদিআরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের ব্যবধান খুবই অল্প।জুমার নামাজ সৌদিআরব ও বাংলাদেশে একই দিনে হলে ঈদ আয়োজন কেন একই দিনে হবে না। তিনি সবাইকে সৌদিআরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান।

চিরিরবন্দর থানা পুলিশের ওসি হারিসুল ইসলাম বলেন, এসব এলাকার লোকজন তাদের রীতি অনুযায়ী গত কয়েক বছর থেকে সৌদির সঙ্গে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন। এ ব্যাপারে ধর্মীয় কোনো বাধা নেই। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আগাম ঈদ,২০ গ্রাম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close