আব্দুর রহমান রাসেল, রংপুর ব্যুরো
‘ঠান্ডা আচ্ছে থেকি হামার খবর কেউ নেয়না’
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে রংপুরাঞ্চলের মানুষ। সোমবার বিকেল পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্য্যের। সকাল থেকেই ঠান্ডা হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে এখানকার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শরীরে চাদর, সুয়েটার ও মাথায় মাফলার বেধে ঠান্ডা নিবারনের চেষ্টা করছে সবাই।
খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপে শীতল শরীরকে গরম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মহানগরীর ফুটপাত ও বিভিন্ন হাট বাজারে শীতের পোশাক কিনতে বেড়েছে ভিড়। সেই সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউপির গাবুড়ার চরের হবিবুর রহমান, কিশামত ছাওলার আবু বক্কর সিদ্দিক, গঙ্গাচড়া উপজেলার চর ছালাপাকের রমিছা বেওয়া ও আমান উদ্দিনসহ রংপুর মহানগরীর তাঁতীপাড়ার মেনাজুল জানান, সকাল থেকেই ঠান্ডা বাতাস ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতে কাঁপছি।
রংপুর নগরীর তাজহাট মোড়ের ফারুক আহম্মেদ জানান, ‘ভাইগো কি কমো হামরা দুঃখের কথা, ঠান্ডা আচ্ছে থেকি হামার খবর কেউ নেয় না।’
এছাড়া এ অঞ্চলের ছোট ছোট শিশুদের ডায়রিয়া, বমি, কাঁশি সহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। নির্বাচনী মাঠে গিয়ে প্রার্থীর প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে চা খেয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছে কেউ কেউ।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় কুমার রায় বলেন, শীতের কারণে হাঁপানী ও শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এসব রোগের প্রকোপ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাতাসের আদ্রতা ছিল ৬২ শতাংশ। তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
পিডিএসও/অপূর্ব