গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
নিখোঁজ গীতিকার জীবন মাহমুদ নেত্রকোনা থেকে উদ্ধার
নিখোঁজের একদিন পর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে গীতিকার জীবন মাহমুদকে উদ্ধার করেছে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার রাতে মোহনগঞ্জ-বোয়ালিয়া আঞ্চলিক সড়কের পলগাও এলাকা থেকে তাকে অস্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহর থেকে নিখোঁজ হয় জীবন মাহমুদ।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন মাহমুদকে উদ্ধারের সময় সে খুব অস্বাভাবিক ছিলো। নাম ঠিকানা ছাড়া আর কিছুই ভালো করে বলতে পারছিলেন না তিনি। পরে যোগাযোগ করে গৌরীপুর থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জীবন মাহমুদের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শালীহর গ্রামে। গান লেখার পাশাপাশি তিনি গৌরীপুর পৌর শহরে ‘আই ফ্যাশন, নামে একটি বিপনী বিতান পরিচালনা করতেন। শুক্রবার রাত নয়টায় তিনি ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করার কথা বলে শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসা থেকে বের হন। এরপর রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেননি। ওইদিন রাত থেকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনের সংযোগটিও বন্ধ ছিলো। এদিকে শনিবার রাতে মোহনগঞ্জ-বোয়ালিয়া আঞ্চলিক সড়কের পলগাও এলাকায় এক যুবককে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় অটোচালক মোহনগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পরে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করলে গৌরীপুর থানার পুলিশ ও তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে জীবন মাহমুদকে শনাক্ত করেন।
রোববার দুপুরে জীবন মাহমুদের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা সীমা প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, উদ্ধার হওয়ার পর আমরা জীবন মাহমুদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, ‘শুক্রবার রাতে স্টেশনে টিকিট আনতে যাওয়ার পথে নতুনবাজার এলাকায় দুইজন মুখোশ পড়া যুবক তার মুখের সামনে রুমাল ঘুড়ালে সে অচেতন হয়ে পড়ে। চেতনা ফেরার পর সে দেখতে পায় অন্ধকার একটি ঘরে তাকে হাত-পা বেধে রাখা হয়েছে। পরে তাকে সেখান থেকে একটি অটোরিকশায় তুলে মোহনগঞ্জ এলাকায় এক সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়।’ উদ্ধারের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকার জন্য বলেছেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোহনগঞ্জ থেকে উদ্ধারের পর জীবন মাহমুদকে পুলিশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। কি কারণে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে তার কারণ সে পুলিশকে বলতে পারেনি। তবে আমরা জড়িতদের ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পিডিএসও/এআই