মো: শাকিল আহমেদ, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘বৃক্ষমেলায়’ অংশগ্রহণ করবে না নার্সারি মালিকরা
আগামী ১৯ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের ‘বৃক্ষমেলায়’ নার্সারি মালিকরা অংশগ্রহণ করবে না জানিয়েছেন। বুধবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা নার্সারি মালিক কল্যাণ সংঘের নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঠাকুরগাঁও জেলা নার্সারি মালিক কল্যাণ সংঘের সভাপতি আরমান আলী।
লিখিত বক্তব্যে আরমান আলী বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে ‘বৃক্ষমেলা শুরু করার জন্য গত ৪ জুলাই জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান তার কার্যালয়ের হলরুমে জেলার নার্সারি মালিকদের নিয়ে একটি সভা করেন। সে সভায় নার্সারি মালিক আগামী ২৬ জুলাই বৃক্ষমেলা করার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হননি ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক নার্সারি মালিকদের মতামত ছাড়াই আগামী ১৯ জুলাই বৃক্ষমেলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। জেলা প্রশাসকের এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নয় জেলার নার্সারি মালিকরা। তাই আগামী ১৯ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ের বৃক্ষলোয় জেলার নার্সারি মালিকরা অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা নার্সারি মালিক কল্যাণ সংঘের সভাপতি আরমান আলী।
আরমান আলী অভিযোগ করে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া কোনও নার্সারি গাছের চারা বাজারজাত করতে পারবে না। কিন্তু ঠাকুরগাঁওয়ে তার উল্টো। আইনকে অমান্য করে বৃক্ষমেলায় রেজিষ্ট্রেশনবিহীন নার্সারি মালিকরা মেলায় অংশগ্রহণ করে গাছের চারা বাজারজাত করছে। এতে করে সরকারের রেজিষ্ট্রেশনপ্রাপ্ত নার্সারি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আগামী ১৯ জুলাই ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হবে। এই মেলায় ২৫ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃক্ষমেলায় জেলার নার্সারি মালিকদের অংশগ্রহণ না করার বিষয় নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান বলেন, বৃক্ষমেলা পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে আলোচনা সভার মাধ্যমে ১৯ জুলাই ঠাকুরগাঁওয়ে বৃক্ষমেলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বৃক্ষমেলায় জেলার নার্সারি মালিকরা যদি অংশগ্রহণ না করে তাহলে সেটা তাদের বিষয়।
পিডিএসও/রিহাব