ক্রীড়া ডেস্ক
বিশ্বকাপ জয়ের রহস্য আদিল রামির গোঁফ!
রাশিয়া বিশ্বকাপে ১ মিনিটের জন্যও মাঠে নামেননি তিনি। কিন্তু তবুও ফ্রান্সজুড়ে আদিল রামি এখন দারুণ আলোচিত এক নাম। মাঠে না নামলেও ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে যে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ডিফেন্ডার রামির!
ভাবছেন মাঠে না নেমেও ভূমিকা কীভাবে রাখেন তিনি? আসলে রামি নিজে নন, ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকা রেখেছে রামির গোঁফ।
খোলাসা করেই বলা যাক। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে খেলতে নামার আগে রামির গোঁফ স্পর্শ করে মাঠে নামতেন গ্রিজম্যান। তিনিও ভালো পারফর্ম করেন, ফ্রান্স জিতে যায় প্রথম দুই ম্যাচ। আস্তে আস্তে গ্রিজম্যানের এই ‘আচরণ’ ছড়িয়ে পড়ে গোটা দলের মধ্যে। রামির গোঁফ স্পর্শ করে মাঠে নামলেই জয় নিশ্চিতÑ এমন কুসংস্কার ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্রেঞ্চ দলের মধ্যে। এরপর থেকে প্রতিটি ম্যাচেই মাঠে নামার আগে ফ্রেঞ্চ খেলোয়াড়দের রুটিন হয়ে দাঁড়ায় রামির গোঁফ স্পর্শ করা!
এমনকি ফাইনালের আগেও নিয়ম মেনে রামির গোঁফ স্পর্শ করে মাঠে নেমেছেন গ্রিজম্যান। শুধুই কি গ্রিজম্যান, ফাইনালের আগে রামির গোঁফ ধরে টেনেছেন স্বয়ং কোচ দিদিয়ের দেশমও! রামি নিজেও এই ঘটনায় বেশ মজা পেয়েছেন। ‘সৌভাগ্যের প্রতীক’ এই গোঁফ কাটবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি, ‘আমার এই গোঁফ এখন পুরো ফ্রান্সের সবচেয়ে বিখ্যাত গোঁফ। এটা আমি কাটছি না।’
ফ্রান্স দলে এমন কুসংস্কারের চল অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলেও এমন বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। প্রতিবার মাঠে নামার আগে গোলকিপার ফাবিয়েন বার্থেজের টাকো মাথায় চুমু খেয়ে মাঠে নামতেন লরা ব্লাঁ। এরপর ধীরে ধীরে এটিই পুরো দলে ছড়িয়ে পড়েছিল। ২০ বছর পর আরো একটি কুসংস্কারে চড়েই এলো ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ।
"