নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৯ মে, ২০১৭

নিত্যপ্রয়োজনীয় ৬ শতাধিক পণ্যে থাকবে না ভ্যাট

* ভ্যাট দিতে হয় এমন অনেক পণ্যে নতুন আইনে ভ্যাট দিতে হবে না * গরিবের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু অব্যাহতিপ্রাপ্ত

ভ্যাট হার না কমার সম্ভবনাই বেশি। ১৫ শতাংশ হারেই নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইন পাশ হবার গুঞ্জন বেশি শোনা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৫ শতাংশের কথাই জানিয়েছেন। আগামী ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন তিনি। ওইদিন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নজর নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইনের দিকে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় হাজার পণ্যে ভ্যাট থাকছে না বলে দাবি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআর সূত্র জানায়, নতুন ভ্যাট আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে অন্তত এইচ এস কোডের আওতায় ৬০০ থেকে হাজার পণ্য ভ্যাটের বাইরে থাকবে। সব মিলিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় হাজারের বেশি জিনিসপত্র ভ্যাটের বাইরে থাকবে। এমনকি বর্তমানে ভ্যাট দিতে হয় এমন অনেক পণ্যে নতুন আইনে ভ্যাট থাকছে না। যেমন : বোতলজাত সয়াবিন তেলে বর্তমান আইনে ভ্যাট দিতে হচ্ছে। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, বর্তমান আইন অনুসারে কৃষিজাত কোনো পণ্য কেটে কিংবা প্যাকেটজাত দ্রব্য হিসেবে বিক্রির ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে। যেমন, প্যাকেটজাত কৃষিপণ্য, প্রক্রিয়াজাত মুরগি, গরু কিংবা খাসির মাংস ইত্যাদি। কিন্তু নতুন আইনের ওইসব পণ্য ভ্যাটের বাইরে থাকবে। এছাড়া সরাসরি খেত বা খামার থেকে আসা পণ্য ভ্যাটের আওতামুক্ত থাকছে।

এনবিআর সদস্য ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসান বলেন, নতুন ভ্যাট আইনের কারণে ভোক্তা পর্যায়ে খরচ বাড়বে না। জীবনযাত্রার মানে এর কোনো ঋণাত্মক চাপ তৈরি হবে না। বর্তমান আইনে ১৫টি সেবা ও প্রায় ৭০টি পণ্য ব্যতীত সব ক্ষেত্রে ১৫শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। ১৫ শতাংশ ভ্যাট নতুন নয়। ১৫টি সেবায় সংকুচিত ভিত্তিমূল্য ও প্রায় ৭০টি পণ্যে ট্যারিফ ভ্যালুর কারণে বিক্রয় পর্যায়ে কম ভ্যাট দিতে হলেও ক্রয়পর্যায়ে পরিশোধিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট ফেরত পাওয়া যায় না। ফলে ভ্যাট বেশি হয়। যারা বিক্রিতে ১৫শতাংশ ভ্যাট দেন তারা আগে কেনার সময় পরিশোধিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট ফেরত পান। ফলে তাদের শুধু সংযোজনের ওপর ভ্যাট দিতে হয়।

রেজাউল হাসান বলেন, গরিবের ব্যবহার্য নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু অব্যাহতিপ্রাপ্ত। এ ধারা নতুন আইনেও অব্যাহত থাকবে। বরং হিসাবভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হলে জনগণের পরিশোধিত মূসক সরকারি কোষাগারে পৌঁছানো নিশ্চিত হবে বিধায় সরকার গরিবের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ করতে পারবে।

এনবিআর থেকে আরো জানা যায়, বর্তমানে যেসব ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত মূল্য বা ট্যারিফ মূল্য রয়েছে, নতুন ভ্যাট ব্যবস্থায় সেসব ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট পরিশোধ করে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা হলে ওই স্তরে ভ্যাটের প্রকৃত ভার ২ বা ৩ শতাংশের বেশি হবে না বিধায় মূল্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist