সিলেট প্রতিনিধি

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

ওমিক্রনে ভোমরায় সতর্কতা

তামাবিল দিয়ে ৫ দিন ধরে আমদানি বন্ধ

অটো এসএমএস সফটওয়্যার চালুর প্রতিবাদে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে ৫ দিন ধরে পণ্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে তামাবিল স্থলবন্দরের ওপারে হাজার হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। স্থানীয় চুনাপাথর আমদানিকারকদের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ না পাওয়ায় এসব ট্রাক বাংলাদেশে এসে প্রবেশ করতে পারছে না। অটো এসএমএস সফটওয়্যার চালুর কারণে গত শুক্রবার থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে স্থাপন করা এই মেশিন বাদ দিয়ে পূর্বের মতো আমদানি- রপ্তানির পদ্ধতি চালু করলে পণ্য আমদানি শুরু করবেন বলে জানেিয়ছেন ব্যবসায়ীরা। সিলেটের ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। আর এ রাজ্যের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির অন্যতম রুট হচ্ছে তামাবিল স্থলবন্দর। নানা ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলেও মূলত চুনাপাথর আমদানির জন্য পরিচিত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই স্থলবন্দর।

জানা গেছে, গত শুক্রবার থেকে তামাবিল স্থলবন্দরে অটো এসএমএস সফটওয়্যার বসানো হয়। এ পদ্ধতির ফলে ভারত থেকে তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসা পণ্যবাহী যানবাহনগুলো নিবন্ধন করতে হয়। একই সঙ্গে যানবাহনের ওজনও পরিমাপ করা হয়। এ পদ্ধতিতে আমাদানি করা হলে স্থলবন্দরে পৌঁছার পরপরই খুদে বার্তার মাধ্যমে পণ্যবাহীর গাড়িসংক্রান্ত তথ্য আমদানিকারকের কাছে চলে যায়। আগে সীমান্তের দুই পাশেই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পণ্যবাহী যানবাহনের ওজন মাপা হতো। পরে তামাবিল স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পর ওজন মাপার স্কেল স্থাপন করা হয়। এতে প্রতিটি গাড়িকে বন্দরে এসে নতুন করে পুরো আমদানির তথ্য দিতে হচ্ছে। এ পদ্ধতি বেশ সময়সাপেক্ষ বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা।

তামাবিল পাথর, কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, আগে প্রতি মিনিটে অন্তত দুটি গাড়ি বন্দর পার হতো। কিন্তু এই সফটওয়্যার বসানোর পর থেকে একেকটি গাড়ি পার হতে ৮ থেকে ১০ মিনিট করে লাগছে। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৮০০ থেকে ৮৫০টি গাড়ি পণ্য নিয়ে ভারত থেকে আসে। এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার টন পাথর আমদানি করা হতো। এ পদ্ধতি স্থাপনের ফলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৩০টি গাড়ি পণ্য পরিবহন করতে পারবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তেমনি সরকারও রাজস্ব হারাবে।

তামাবিল পাথর, কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি আলী জালাল উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীরা সরকারের বিপক্ষে নয়। তবে সমন্বয় না করে অটো এসএমএস সফটওয়্যার পদ্ধতি স্থাপন করায় ব্যবসায়ীরা হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরগুলোতে এ পদ্ধতি চালু না হলেও অদৃশ্য কারণে সিলেটে এ পদ্ধতি চালু করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূঞা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই অটো এসএমএস সফটওয়্যার পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এ পদ্ধতি বন্ধের দাবিতে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে সফটওয়্যার পদ্ধতি বন্ধ করা হবে কি না, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

অমিক্রমে ভোমরা স্থল বন্দরে সতর্কতা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এদিকে, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরণ ওমিক্রণ প্রতিরোধে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ইমিগ্রেশন, সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহয়তায় এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close