নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ এপ্রিল, ২০১৯

সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পের নীতি সহায়তা বৃদ্ধির দাবি

সেবা শিল্প হিসেবে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্পের অনুকূলে রফতানিমুখী অন্যান্য শিল্পের মতো আর্থিক সুবিধা ও প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওশানগোয়িং শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিওজিএসওএ) নেতারা।

তারা বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ ব্যবসাকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত এ খাত আর্থিক সুবিধা ও প্রণোদনা পায়নি। তাই তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের অনুরূপ উৎসে কর, ডিউটি ড্র-ব্যাক, ইউডিএফ লোন, প্যাকিং লোন সুবিধাসহ নগদ প্রণোদনার জন্য আহ্বান জানান তারা। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ওশান গোয়িং শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক প্রতিনিধি দল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠককালে এ দাবি জানান।

বৈঠকে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাসহ সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি বা ‘ব্লু ইকোনোমি’ এর প্রসার, সমুদ্রপথে পণ্য আমদানি রফতানিতে ফ্রেইট চার্জ খাতে দেশীয় জাহাজের হিস্যা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য বিষয় আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে বিওজিএসওএর নেতারা বলেন, ‘সরকারের নীতি সহায়তা ও প্রণোদনা পেলে দেশীয় পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ শিল্প খাত দ্রুত বিকশিত হবে। বর্তমানে সমুদ্রপথে পণ্য আমদানি রফতানির ক্ষেত্রে ফ্রেইট চার্জ বাবদ খরচের ৯০ শতাংশেরও বেশি বিদেশি জাহাজ মালিকরা নিয়ে যাচ্ছে। দেশীয় সমুদ্রগামী জাহাজ মালিকদের আয়করসহ অন্যান্য সুবিধা দিয়ে বছরে ফ্রেইট চার্জ বাবদ কমপক্ষে আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় সম্ভব। এ শিল্পের বিকাশে সরকারের নীতি সহায়তা কামনা করছি আমরা।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close