নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় বাজেটে প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব
শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, সব ধরনের শিশু সহিংসতা বন্ধসহ বিভিন্ন খাতে সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন
প্রাক-বাজেট আলোচনায় সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পৃথক প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে সারা দেশের নির্বাচিত কয়েকজন শিশু প্রতিনিধি গতকাল অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ নিয়ে তাদের প্রত্যাশা ও সুপারিশমালায় এ প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া শিশুরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, সব ধরনের শিশু সহিংসতা বন্ধেসহ বিভিন্ন খাতে সুপারিশ ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে শিশু প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা। আরো উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড প্রোটেকশন অ্যান্ড চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স সেক্টরের ডিরেক্টর লায়লা খন্দকার; চাইল্ড রাইটস গভর্ন্যান্স সেক্টরের ডেপুটি ডাইরেক্টর, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পাবলিক ফাইন্যান্স, আশিক ইকবাল এবং প্ল্যান বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার, অপারেশনস ফারুক আলম খান।
অনুষ্ঠানে অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, শিশুরা বাজেট নিয়ে মত প্রকাশ করছে, সরকারের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরছে, এটি খুবই প্রশংসনীয়। সরকারের পক্ষ থেকেও চেষ্টা থাকবে তাদের আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করার।
জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ নিয়ে সারা দেশের ৪ হাজার ৮০০ শিশু তাদের বাজেট ভাবনা প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে তুলে ধরেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় শিশু সংগঠন ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) সে সবের সংকলন ও উপস্থাপনের কাজটি করে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের (ইউএনসিআরসি) সাধারণ মন্তব্য ১৯ (২০১৬) এ শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ এবং তার প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাজেট প্রক্রিয়ায় শিশুর অংশগ্রহণ উৎসাহিত করার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত অর্থবছর ১৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ৫৬ হাজার কোটি টাকার পৃথক শিশু বাজেট উপস্থাপন করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে শিশু বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। এ বছরও জাতীয় বাজেটে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন দেখা যাবে বলে শিশুরা আশা প্রকাশ করে।
"