নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিতে ফ্ল্যাটের দাম বাড়ছে
ইট, বালু, রড, সিমেন্ট, টাইলস, পাথরসহ অন্য নির্মাণসামগ্রীর দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সংকটে পড়বে আবাসন খাত। তাছাড়া গৃহঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ফ্ল্যাটের দাম ২০-২৫ শতাংশ বাড়বেÑ এমন শঙ্কা করছে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রিহ্যাব আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিহ্যাব। এ সময় বক্তারা এসব কথা বলেন। আবাসন ব্যবসায়ীরা জানান, নির্মাণসামগ্রীর ক্রমবর্ধমান দামের কারণে মারাত্মক হুমকিতে আবাসন খাত। শ্রমিকদের মজুরি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিল্প খাতে। এতে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত আবাসন খাতের উন্নয়ন। এদিকে দেশের জনসংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সেদিকে খেয়াল রেখে ব্যবসায়ীরা আবাসন খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। অর্থ বিনিয়োগ করেও ফ্ল্যাট বিক্রি করতে পারছেন না তারা। ফলে না পারবেন ব্যবসা চালাতে, না পারবেন বন্ধ করতে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকার থেকে নির্মাণসামগ্রীর ওপর কোনো ধরনের চার্জ বা কর আরোপ করা হয়নি। বাড়েনি কোনো কাঁচামালের দাম। কিন্তু বাজারে প্রতিটি নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খাতের প্রধান উপকরণ ৬০ গ্রেডের রডের বর্তমান প্রতি টনের বাজারমূল্য ৬৫-৬৮ হাজার টাকা এবং ৪০ গ্রেডের রডের বাজারমূল্য ৫৩-৫৬ হাজার টাকা। এক বছরে রডের বাজারমূল্য প্রতি টনে বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ৬ মাস আগে প্রতি বস্তা সিমেন্ট বিক্রি হয়েছিল ৩৬০-৩৯০ টাকায়। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৬০ টাকায়। সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তাপ্রতি ৫০-৬০ টাকা এবং ইটের দাম বেড়েছে হাজারে এক হাজার টাকা। একই হারে বাড়ছে পাথর আমদানি খরচ। এ ছাড়া গৃহঋণে ব্যাংক সুদহার দুই অঙ্কের ঘরে উঠায় আবাসন খাত ফের হুমকির মুখে পড়ছে। রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন জানান, দীর্ঘদিনের মন্দা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে আবাসন খাত। নতুন করে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি আবাসন খাতকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এ কারণে ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে।
"