জামালপুর প্রতিনিধি

  ০৬ এপ্রিল, ২০২৪

গরিবের ২০ টন চাল মেরে খাওয়ার পাঁয়তারা ব্যর্থ

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামছুজ্জামান ওরফে সুরুজ মাস্টার কালোবাজারিদের কাছে বিক্রির জন্য ভিজিএফের ২০ টন চাল গোপন করেন। ইউনিয়নে না এনে তা রেখে আসেন উপজেলার গুদামে। এরপর পাঁয়তারা চালান এই চালগুলো কালোবাজারে বিক্রির। তিনি এই বেআইনি কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। একজন ইউপি সদস্যের দেওয়া তথ্যে স্থানীয় সাংবাদিকরা এ ব্যাপারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় গরিবের প্রাপ্য এই চালগুলো মেরে খেতে পারেননি।

ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামানের এ কাজ সম্পর্কে মোবাইল ফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের তথ্য দেন চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান গুদামে ভিজিএফের ২০ টন চাল খাদ্যগুদামে রাখেন, অথচ আমার ওয়ার্ডবাসীকে ১টা স্লিপও দেওয়া হয়নি। আমি আন্দোলন করব। আমার লোকজনদের নিয়ে ইউএনও অফিসে যাব।

মেম্বার খলিলুর রহমানের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃস্পতিবার চরপুটিমারি ইউনিয়ন পরিষদে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, মেম্বারের অভিযোগ সঠিক ছিল। কিন্তু, খলিল মেম্বার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছে- এই খবর চেয়ারম্যান জেনে ওইদিনই উপজেলার গোদামে রেখে আসা চাল নিয়ে এসেছে। এরপর তাড়াতাড়ি মেম্বারের পাওনার চাইতে বেশি দিয়ে তার সঙ্গে আপস করে বুধবার চাল বিতরণ করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ট্যাগ অফিসার মো. হুমায়ূন রশিদ বলেন, এবারের ঈদে চরপুটিমারি ইউনিয়নের জন্য ৪৯.০২৩ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে চেয়ারম্যান একধাপে তুলেছে ৩০ টন আর পরের ধাপে তুলেছে ১৯.০২৩ টন চাল। এ ঘটনায় পরিষদের মেম্বার খলিল মেম্বারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি পাশ কাটিয়ে চলে যান।

চরপুটিমারি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার বলেন, ইউএনওকে বলেই ২০ টন চাল গোদামে রেখে এসেছিলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close