প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১২ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

ডিসেম্বরে করোনায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু

করোনাভাইরাস এখনো বিশ্বে হুমকি হিসেবেই রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটা নীরব ঘাতক হয়েই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কাড়ছে এই ভাইরাস। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রস আধানম ঘেব্রেয়েসুস। গত বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ছুটির দিনে জনসমাগম এবং বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরনের বিস্তারের কারণে ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, গত মাসে করোনাভাইরাসে প্রায় ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তি হার ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোয়। জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থাটির মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, যদিও মহামারির সময়ের তুলনায় গত এক মাসে ১০ হাজার মৃত্যু অনেকটা কম বলা যায়। তবে মহামারির সময় শেষ হয়ে আসার এতদিন পর এ সংখ্যা স্বাভাবিক নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, এটা নিশ্চিত যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ বাড়ছে। তবে সব স্থানের সংক্রমণের খবর জানা যাচ্ছে না বা রিপোর্ট করা হচ্ছে না। তিনি সব দেশের সরকারকে এ বিষয়ে নজরদারি বজায় রাখা এবং চিকিৎসা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তেদ্রস আধানম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট এখন জেএন-১। এটি ওমিক্রনেরই একটি ধরন। তাই বর্তমানে বিভিন্ন দেশে যে ভ্যাকসিনগুলো রয়েছে, সেগুলো থেকেই কিছুটা সুরক্ষা পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। কোভিড-১৯ সংক্রমণের জন্য ডব্লিউএইচও-এর প্রযুক্তিগত নেতৃত্বে আছেন মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ যেমন ফ্লু, রাইনোভাইরাস এবং নিউমোনিয়া বেড়ে গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close