পিরোজপুর প্রতিনিধি

  ১৬ আগস্ট, ২০২২

নিজের বাল্যবিবাহ ঠেকাল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৩) বাল্যবিবাহের আয়োজন করে পরিবার। তবে মেয়েটির চেষ্টায় সে বিয়ে আর হয়নি।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দিনমজুর এক ব্যক্তির মেয়ে। সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মেয়েটির বিয়ের সময় নির্ধারণ করা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে আত্মীয় আপ্যায়নের জন্য বাজার করাও হয়েছিল। গত রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মেয়েটি বাল্যবিবাহ আয়োজনের কথা জানায়। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। এরপর গতকাল সকালে ইউএনও মেয়েটির বাবাকে ডেকে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার জন্য মুচলেকা নেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘মেয়েটি সচেতন ছিল বলেই সে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। বাল্যবিবাহের কুফল নিয়ে প্রচার-প্রচারণার সুফল এটি। আমরা বাল্যবিবাহের ব্যাপারে মেয়েদের সচেতন করতে পেরেছি। এটি আমাদের সফলতা। তিনি আরো বলেন, বাল্য বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তা ছাড়া বাল্যবিবাহের ফলে বালিকা শিশুর ভবিষ্যৎ জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। তার স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশের সমস্যা হয়। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, কন্যাশিশুর আঠারো বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দেওয়া ঠিক না।’

ওই স্কুলছাত্রী জানায়, সে পড়াশোনা করতে চায়। বাল্যবিবাহের কুফল সে জানে। এজন্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছে সে।

ইউএনও শেখ আবদুল্লাহ আল সাদীদ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পেরে ওই ছাত্রীর বাবাকে ডেকে আনেন তিনি। এরপর মেয়েকে ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করে মুচলেকা দেন ওই ছাত্রীর বাবা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close