খুলনা ব্যুরো

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

খুলনায় চৌকিদার হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আটিপাড়া বাজারে দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে নিহত চৌকিদার আবদুল জলিল হত্যা মামালায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাদের দুজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো সাতক্ষীরার তালা উপজেলার রেজওয়ান গোলদারের ছেলে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রামের সুলতান শেখের ছেলে আনোয়ারুল শেখ। আসামিরা পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি পাইকগাছা থানা পুলিশ গোপন খবর পেয়ে একটি অস্ত্রের চালান আটক করতে স্থানীয় কাটিপাড়া বাজারে চেকপোস্ট বসায়। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করতে থাকে পুলিশ। এরই মধ্যে দুপুর ২টার দিকে পাইগাছার চিহ্নিত তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলযোগে কাটিপাড়া বাজারে পৌঁছানো মাত্র পুলিশ তাদের গতি রোধ করে। এ সময় পুলিশ সদস্য দীপংকরের গলায় পিস্তল ধরে সন্ত্রাসী শহিদুল। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এটা দেখে গ্রাম্য চৌকিদার জলিল এগিয়ে গেলে শহিদুল তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিটি জলিলের মাথাভেদ করে বের হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরপরই পুলিশের অন্য সদস্য জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে রাশেদ গোলদার রাইফেল কেড়ে নেয় এবং মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে পুলিশের হাতে আটক হয় ঘাতক শহিদুল গোলদার।

এ ঘটনায় পাইকগাছা থানার এসআই মো. আবু দাউদ শিকদার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার।

এ মামলায় তিন দফায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরে নিহতের স্ত্রীর নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরো তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় চার্জশিটে। তারা হলেন ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল। উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরে এই তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আহাদুজ্জামান।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close