নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

স্ত্রী-সন্তান-জামাতার বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কনা মিয়া সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গরুর ব্যবসা করেন। বিয়ে করেছেন দুটি। বয়সে প্রবীণ। থাকতেন দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজার সঙ্গে আর ব্যবসার টাকা রাখতেন তার কাছে। দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে স্বামীর টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ফিরোজা। শুধু স্বামীর টাকাই নয়, ঘরের আসবাবপত্রও নিয়ে যান তিনি। ফিরোজা শুধু একা নন, সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে, মেয়ে ও জামাতা। উপায়ন্তর না দেখে আইনের আশ্রয় নেন কনা মিয়া, লিখিত অভিযোগ করেন স্ত্রী, জামাতা ও সন্তানদের বিরুদ্ধে। এদিকে মামলা করে স্ত্রী, সন্তানদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকিতে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, এর আগেও কয়েকবার ওই দম্পতির মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। গ্রাম্য বিচারকরা এ নিয়ে কয়েকবার সালিস বৈঠকে বসেন। তাতেও কাজ হয় না। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্বামী মো. কনা মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে স্ত্রী ফিরোজা পাশের দেওতৈল গ্রামের জামাতা আক্কল মিয়া ওরফে আকলিছকে ফোন করে বাড়িতে আনেন। তার সঙ্গে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে একজোট হয়। তারা ঘরে থাকা কনা মিয়ার গরু কেনার টাকা, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পিকআপ ভ্যানে করে জামাই আকলিছের বাড়িতে নিয়ে যান।

এদিকে, কনা মিয়া বাড়িতে এসে এমন সর্বনাশ দেখে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে নবীগঞ্জ থানায় স্ত্রী ফিরোজা, ছেলে সুমন, রাজু ও মেয়ে ডলি, সেলি ও মেয়ের জামাই আক্কল ওরফে আকলিছের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে মো. কনা মিয়া জানান, অভিযোগ করার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় আছেন। আসামিরা প্রতিশোধ নিতে তাকে হন্ন হয়ে খুঁজছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্ত্রী ফিরোজা জানান, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী মো. কনা মিয়া তাকে নির্যাতন করে আসছেন। বিগত দিনে তিনি আদালতে ও থানায় মামলা করার পর সামাজিকভাবে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।

‘কনা মিয়া প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে আমাকে মারপিট করায় বর্তমানে অন্যত্র অবস্থান করছি।’ অচিরেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত কনা মিয়ার সঠিক বিচার পাবেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close