নাটোর প্রতিনিধি

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নাটোরে ৩ হাজার চাষিকে ২২ লাখ টাকার প্রণোদনা

জেলার ৩ হাজার ১০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক ২২ লাখ টাকার বীজ ও সারের মাধ্যমে পাচ্ছেন কৃষি প্রণোদনা। খরিফ-২ মৌসুমের মাসকালাই ডাল চাষের বীজ ও সার এবং শাকসবজি চাষের প্রয়োজনীয় বীজ প্রদান করা হচ্ছে।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে মাসকালাই চাষের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ১০০ জন করে কৃষক, সিংড়া উপজেলায় ৮০ জন কৃষক, নাটোর সদর উপজেলায় ৭০ জন কৃষক এবং নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৫০ জন করে কৃষক। প্রত্যেক কৃষককে তাদের এক বিঘা জমিতে মাসকালাই চাষের জন্য ৫ কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও ৫ কেজি করে এমওপি সার প্রদান করা হচ্ছে। এজন্য মোট ব্যয় হবে ৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা। অন্যদিকে জেলার ২ হাজার ৬০০ কৃষকের প্রত্যেককে প্রদান করা হচ্ছে ১৩ ধরনের শাক ও সবজি বীজ। এর মধ্যে সিংড়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬০০ কৃষক, লালপুরে ৫০০ কৃষক, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৩৫০ জন করে কৃষক, গুরুদাসপুরে ৩০০ কৃষক এবং নলডাঙ্গা ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় ২৫০ জন করে কৃষক এ বীজ পাচ্ছেন। প্রদত্ত শাকসবজির বীজের মধ্যে রয়েছে লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, শসা, লাউ, মিষ্টিকুমড়া, করলা, মরিচ, বরবটি ও শিম।প্রদত্ত ১ টন ২৬১ কেজি বীজের মূল্য ১৮ লাখ ৭ হাজার টাকা।

১৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলা খরিফ-২ মৌসুমে কৃষকরা তাদের আবাদি জমিতে মাসকালাই ডাল এবং শাকসবজি চাষ করছেন। এরই মধ্যে জেলার সিংড়া উপজেলায় সমুদয় সুবিধাদি কৃষকদের প্রদান করা হয়েছে। নাটোর সদর উপজেলায় মাসকালাই ডাল বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে, দ্রুত শাকসবজির বীজ প্রদান করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলার অন্যান্য উপজেলায় প্রণোদনা বিতরণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেহেদুল ইসলাম জানান, ৫ থেকে ৪৯ শতাংশ জমির মালিকানা থাকা কৃষককে প্রান্তিক কৃষক এবং ৫০ শতাংশ থেকে এক হেক্টরের নিচে পর্যন্ত জমির মালিকানা থাকা কৃষককে ক্ষুদ্র কৃষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উপজেলার সব ইউনিয়নের কৃষি ব্লকগুলোতে সংশ্লিষ্ট কৃষক বাছাই করে উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন ও প্রণোদনা বাস্তবায়ন কমিটি সভায় কৃষকদের তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের এ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ডাল বীজ ও সার এবং শাকসবজির বীজ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক অবস্থান সুসংহত হবে এবং প্রণোদিত কৃষকদের উৎপাদন মোট দেশজ কৃষি উৎপাদনে সংযুক্ত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close