চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৯ মার্চ, ২০২০

চট্টগ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ প্রকল্প এগিয়ে চলেছে

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে গ্যাসের অবৈধ গ্যাস মুক্তকরণ অভিযানে হাতে নেওয়া পাইলট প্রকল্প কার্যক্রমের আওতায় এ পর্যন্ত গত ১৫ দিনে নগরীতে ১ হাজার গ্যাস সংযোগ মনিটরিং করা হয়েছে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ১ মার্চ থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ মুক্তকরণ কর্মসূচি হাতে নেয় কেজিডিসিএল। অভিযানে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নগরীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রোধ করে দেশের জ্বালানি সাশ্রয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুজিব শতবর্ষে পাইলট প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। অবৈধ গ্যাস সংযোগগুলো বিচ্ছিন্নকরণের মাধ্যমে গ্যাস চুরি রোধ করে রাজস্ব বৃদ্ধি এবং দেশের জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তায় এ ধরনের ঘন ঘন মনিটরিং জরুরি।

গ্যাস সংযোগ মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস) মো. সারওয়ার হোসেন সরেজমিন অভিযান পরিচালনাকালে প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, নগরীর পাহাড়তলী, বিশ্বরোড কলোনি, সাগরিকার রোড, এ কে খান, উত্তর পশ্চিম খুলশী এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গত রোববার ১৫ মার্চ পর্যন্ত পরিচালিত মনিটরিং টিমের অভিযানকালে সাগরিকা রোডে হোটেল সায়মন, এ কে খান মোড়ে তাবুক হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং কাট্টলীতে হোটেল আবুল হোসেনের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তিনি বলেন, রোববারের অভিযানে অননুমোদিত সরঞ্জাম ব্যবহার করায় একটি আবাসিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিশেষ টিমের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জি এম ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিস মো. সারওয়ার হোসেন জানান। মনিটরিং টিম সূত্রে জানা গেছে, ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ রোববার পর্যন্ত ৯৭৩টি আবাসিক, ৫২টি শিল্প ও ৩৬টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ মুক্তকরণ মনিটরিং করা হয়েছে।

কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বর্তমানে আবাসিক পর্যায়ে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৪৮টি গ্যাস সংযোগ বিদ্যমান রয়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষের মতে, অনেক আবাসিক গ্রাহকই গ্যাসের অপচয় কমিয়ে এনে কার্যকর ব্যবহারের ওপর কোনো মনোযোগ দেন না। তাছাড়া অননুমোদিত সরঞ্জামে গ্যাস ব্যবহার করে কিছু অসৎ গ্রাহক গ্যাসের চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি সংকট নিরসনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের কার্যকর ব্যবহারে সরকারের অন্যতম প্রধান নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেজিডিসিএল কাজ করে যাচ্ছে বলে সংস্থার কর্মকর্তারা মনে করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close