বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৬ জুলাই, ২০১৯

৭ ঘণ্টা পর চালু

হয়রানির অভিযোগে বনগাঁ বন্দরে ধর্মঘট

বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছেÑ এমন অভিযোগ এনে গতকাল প্রায় সাত ঘণ্টা কর্মবিরতিতে যায় বনগাঁ ট্রাক মালিক সমিতি ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সদস্যরা। ফলে বেনাপোলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম।

বনগাঁ ট্রাক মালিক সমিতি ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির অভিযোগ, বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত নাইট গার্ড, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা বেনাপোল স্থলবন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকদের কাছ থেকে বকশিশের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। টাকা না দিলে তাদের নানা হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়। এসব ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকারের দাবিতে গতকাল সোমবার সকালে পেট্রাপোল চেকপোস্টে মাইকিং করে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে না পাঠাতে নির্দেশ দেন ওই দুই সংগঠনের নেতারা। এ ব্যাপারে ভারতীয় ট্রাকচালক অসিত বিশ্বাস বলেন, আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর বেনাপোল বন্দরে বিভিন্ন সংগঠনের কাছে নানাভাবে হয়রানি হতে হয়। তারা বকশিশের নামে জোর করে টাকা আদায় করে। এদিকে এ দুই সংগঠনের আকস্মিক ধর্মঘটে সাড়া দেয়নি ওপারের বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন। তাদের সঙ্গে কথা না বলে হঠাৎ করে ধর্মঘট ডেকে বাণিজ্যে জটিলতা সৃষ্টি করছে বলে জানান ওপারের সিএন্ডএফ এজেন্টরা। দুপুরের পর ওই দুটি সংগঠনের নেতারা নিজেরাই আবার বাংলাদেশে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করায়।

এদিকে বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতারা জানান, ওপারের ট্রাক মালিক ও ট্রান্সপোর্ট মালিকরা দিনের পর দিন কৃত্রিম সংকটে ফেলে বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে একটি ট্রাক ১৫-২০ দিন আটকে রেখে ডেমারেজ চার্জ (প্রতিদিন ভারতীয় এক হাজার টাকা) আদায় করত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। ওপারের প্রশাসনের নজরে বিষয়টি আসার পর এখন আর কোনো ট্রাক ভারতীয় টার্মিনাল বা পার্কিংয়ে এক দিনের বেশি থাকছে না। এ কারণে ট্রাক মালিক ও ট্রান্সপোর্ট মালিকদের বড় একটি আয়ের খাত (অর্থ) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বাংলাদেশি বিভিন্ন সংগঠনের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধের পায়তারা করছে। আর বিষয়টি বুঝতে পেরে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন তাদের সমর্থন করছে না।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, সকাল ৮টা থেকে হঠাৎ করে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রাখেন ভারতীয় ট্রাকচালকরা। আবার বিকেল ৩টার দিকে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসছেন ভারতীয় ট্রাকচালকরা। কী কারণে এই সাত ঘণ্টা বন্ধ ছিল, তা আমরা জানি না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পণ্য দিলে আমরা অবশ্যই নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close