পাবনার বেড়া উপজেলায় বসন্তপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার রেজি খাতুনের (৬০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের সামাদ সেখের স্ত্রী। গ্রামের আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপ এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকা- বলে পরস্পরকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নগরবাড়ী এলাকার বসন্তপুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার প্রভাব বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রভাবশালী দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের এক পক্ষে রয়েছেন উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য কাওসার আহমেদ ওরফে পলাশ আর অপর পক্ষে রয়েছেন রুস্তম আলী। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই স্থানীয় নেতার বিরোধ চলে আসছে।

নিহত বৃদ্ধার ছেলে সাইদুল এ সংঘর্ষে ইউপি সদস্য কাওসার আহমেদ ওরফে পলাশের পক্ষে অংশ নেয়। সংঘর্ষের পর প্রতিপক্ষ ও পুলিশি অভিযানের ভয়ে সে বাড়ি ছেড়েছে। এরই মধ্যে সকালে তার মায়ের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। এতে তার গ্রুপের লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা অভিযোগ করে জানান, প্রতিহিংসাবসত রুস্তম আলী গ্রুপের লোকজন সাইদুলের বৃদ্ধা মাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। ইউপি সদস্য কাওসার আহমেদ পলাশের লোকজন প্রতিপক্ষকে দায়ি করে সকালে নগরবাড়ী ঘাটে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় নগরবাড়ী-বগুড়া মহাসড়কের বাস চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এর ঘণ্টা খানেক পরে সাইদুলকে নিজেদের গ্রুপের বলে দাবি করেন রুস্তম আলী গ্রুপের লোকজন। তারা এটাকে ইউপি সদস্য কাওসার আহমেদ পলাশের গ্রুপের লোকদের হত্যাকা- বলে দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল করে সড়ক অবরোধ করেন।

ইউপি সদস্য কাওসার আহমেদ পলাশ জানান, গত সপ্তাহে রুস্তম গ্রুপের লোকজন ওই বৃদ্ধা নারীসহ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিল। এ নিয়ে আমিনপুর থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি জানান, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকা- ঘটিয়ে থাকতে পারে। আমিনপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

"