বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৯ মার্চ, ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধা সনদে পুলিশে চাকরি নিতে গিয়ে গ্রেফতার ৮

বগুড়ায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে জয়পুরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) অফিসের স্টেনোগ্রাফারসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল রোববার গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে। তারা হলোÑ জয়পুরহাট পুলিশ সুপার অফিসের স্টেনোগ্রাফার ও বগুড়ার সোনাতলা থানার হাসরাজ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, একই এলাকার ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান, জাকির হোসেন, মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত গত ৬ মার্চ বগুড়া পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। শারীরিক ও লিখিত পরীক্ষা শেষে ১২ মার্চ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে রাত সাড়ে ৮টায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেন মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা-সংক্রান্ত সনদপত্র দাখিল করে।

সনদপত্র দেখে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদের মৌখিক পরীক্ষা পরে নেয়া হবে বলে জানানো হয়। এরপর গোপন অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে তাদের দাখিল করা মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র জাল। এরপর ১৫ মার্চ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। প্রথমে গ্রেফতার করা হয় পুলিশে নিয়োগ নিতে আসা প্রার্থী মিল্লাত হোসেন, আইনুর ইসলাম, জুয়েল হাসান, আল-আমিন ও মনির হোসেনকে।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জাল করার মাধ্যমে পুলিশে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়া চক্রের মূল হোতা হলেন জয়পুরহাট পুলিশ সুপার অফিসের স্টেনোগ্রাফার রফিকুল ইসলাম। তিনি ও তার ছোট ভাই ওয়াসিম রেজা ছাড়াও অপর পাঁচ প্রার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লাখ থেকে সাড়ে ১১ লাখ করে টাকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে পাঁচজনকে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ রফিকুলসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের বগুড়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বগুড়া পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ অফিসার আবু তাহের বাদী হয়ে মামলা করেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist