শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১৭ মার্চ, ২০২৪

‘আফ্রিকান বোয়ার’ ছাগলে ফরিদের আয় বছরে ১০ লাখ

গাজীপুরের শ্রীপুরে বিদেশি ‘আফ্রিকান বোয়ার’ জাতের ছাগল পালন করে বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় শেখ ফরিদের। তিনি নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি খামার। খামারটির নাম দিয়েছেন ‘মা গট ফার্ম’।

জানা গেছে, শেখ ফরিদ শ্রীপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হাফেজ আইন উদ্দিনের ছোট ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর অভাব ও অসচ্ছলতা থাকার কারণে আর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি ফরিদ। ২০১৬ সালে পাড়ি জমান সিঙ্গাপুরে। সুবিধাজনক কর্মসংস্থান না পাওয়ায় দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখতে দেখতে ছাগল পালনের একটি ভিডিও আকৃষ্ট করে তাকে। ৫ বছর আগে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে আফ্রিকান বোয়ার জাতের একটি ছাগল সংগ্রহ করেন তিনি। বর্তমানে শেখ ফরিদের খামারে ৩৫-৪০টি ছাগল রয়েছে। পাশাপাশি আফ্রিকান ডরপার জাতের ভেড়া আছে ৬টি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকার বেশি। প্রতিটি ছাগলের বাজার মূল্য ৪০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ৬ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করা শেখ ফরিদের বর্তমানে বছরে আয় ১০ লাখ টাকা। ছাগল পালনে শেখ ফরিদের সফলতা দেখে আশপাশের অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন ছাগল পালনে।

শেখ ফরিদ জানান, আফ্রিকান বোয়ার জাতের ছাগল দ্রুত বর্ধনশীল জাত। এগুলোর তেমন রোগবালাই নেই বললে চলে। বর্তমানে খামারে ৪০টি ছাগল রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। এই বোয়ার ছাগল প্রথমবার ১৩-১৪ মাস পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। এরপর ৬-৭ মাস পর পর ২টি করে বাচ্চা দেয়। প্রতিদিন একটি ছাগলের পেছনে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

এদের খাবারের তালিকায় রয়েছে নিজের চাষ কৃত জার্মান নেপিয়ান জাতের ঘাস, সাইলেজ। এ ছাড়া মিশ্রত দানাদার খাবার, গম, ভুট্টা, সয়াবিন এবং এ্যাংকারের ভুষি, ছোলা বুট ইত্যাদি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, আফ্রিকান বোয়ার জাতের ছাগল পালন করে মোটামুটিভাবে সফল হয়েছেন শেখ ফরিদ। আমরা নিয়মিত তার ওই ছাগলের খামার পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। খামার বৃদ্ধি করার জন্য যদি ঋণের প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close