নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৭ অক্টোবর, ২০২২

সাত মাসেই প্রসূতির পা বেঁধে সন্তান প্রসব!

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটালে প্রসুতির দুই পা বেঁধে সন্তান প্রসব করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে পেটের ব্যাথা নিয়ে ওই হাসপাতালে গেলে সাত মাসের অন্তঃসত্তাকে অপরেশন থিয়েটারে নিয়ে সন্তান প্রসব করানো হয়। নবজাতকের অবস্তা গুরুতর। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্বজনদের সঙ্গে অশালীন ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তার ও হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সানারপাড় এলাকার মাহাবুবুর হাসানের স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্তা সাদিয়ার পেটে ব্যাথা অনুভব করায় বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রো-অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে নেওয়া হয়। হসপিটালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগমের তত্ত্বাবধানে সাদিয়াকে ভর্তি করে কোন পরীক্ষা-রিরিক্ষা না করেই সন্তান প্রসব করার জন্য রাত ১০টায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

সাদিয়ার স্বামী মাহবুবুর হাসান বলেন, ডাক্তার নূরজাহান বেগম আমার স্ত্রীকে কোন পর্যবেক্ষণ না করেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী ব্যাথায় চিৎকার করতে থাকলে তার দুই পা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এ সময় বাহির থেকে তার চিৎকার শুনতে পাই। প্রায় ৫৫ মিনিট পর থিয়েটার থেকে ডাক্তার নূরজাহান বেগম বের হয়ে বলেন, বাচ্চার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাচ্চাকে এনআইসিওতে ভর্তী করাতে হবে। পরে এনআইসিওতে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চার দেহের বিভিন্ন অংশে জখমের দাগ দেখে জিজ্ঞাসা করলে আশালীন ভাষায় গালাগালি করে ডাক্তার নূরজাহান। জোরাজোরি করে বাচ্চা প্রসব করানোর ফলে এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে মাহবুবুর হাসান অভিযোগ করেন। ডাক্তার নূরজাহান বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগী ৭ মাসের অন্তঃসত্তা। তাকে হসপিটালে নিয়ে আসার পর দেখি বাচ্চার মাথা নিচে চলে এসেছে। নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। প্রসবের পর বাচ্চা ঠিকমত অক্সিজেন পাচ্ছিলোনা। তাই তাকে এনআইসিওতে রাখা হয়। আর রোগীর সঙ্গে কোন খারাপ আচরণ করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, প্রো-অ্যাকটিভ হসপিটাল এন্ড কলেজটি চালু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক ডক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুরও চালিয়েছে। হসপিটালটির অপচিকিৎসা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধমের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close