নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বুল্লাই নদীতে সেতু নির্মাণের ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দু’পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের ভাঙ্গার খালের ওপর নির্মিত সেতুরও একই অবস্থা হয়েছে। সংযোগ না থাকায় সেতু দুটি জনগণের কোনো কাজে আসছে না। এতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে প্রায় কোটি টাকা অনর্থক সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগ ওঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার মাগুড়া ইনিয়নের সবুজপাড়া গ্রাম সংলগ্ন বুল্লাই নদীতে ২০১৬ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তর ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ করেন। কিন্তু ব্রিজটির ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য দুই পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই। শুকনো  মৌসুমে জমির আইল দিয়ে হেঁটে ব্রিজে উঠতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ব্রিজের দু’পাশে পানি থই-থই করায় জমির আইল ডুবে থাকে। দোলায় নেমে কোমর পানি পাড়ি দিয়ে কেউ ব্রিজে উঠে নদী পারাপার হয় না। তখন সড়কবিহীন অকেজো ওই ব্রিজটি চারদিকে পানির মাঝে একাকি দাঁড়িয়ে রয়। এদিকে পুটিমারী ইউনিয়নের মন্থনা মাঠিয়ালপাড়া গ্রামের ভাঙ্গার খালের ওপর ২০১৭ সালে ব্রিজটি নির্মিত হয়। ত্রাণ অধিদপ্তর ৩১ লাখ টাকায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ব্রিজটি নির্মাণ করেন। কিন্তু ব্রিজের দু’পাশে নেই সংযোগ সড়ক। চারপাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। মাঝখানে ঠাঁই হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ব্রিজটি। উত্তর দিকে নামমাত্র সরু রাস্তা থাকলেও ব্রিজের অপর প্রান্তে হিন্দুপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কোনো অস্তিত্ব নেই। ফলে দোলা থেকে কৃষকরা ফসল ও সার আনা-নেওয়া করতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়। এজন্য ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার লোকজনের অভিযোগ ব্রিজ দুইটি কোনো কাজে না লাগায় এ যেন সরকারি অর্থ বরাদ্দের অনর্থক অপচয় মাত্র।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার জানান, ওই ব্রিজ দুইটি আগের স্যারের আমলে নির্মিত হয়েছে। আমি ২০১৮ সালে এখানে যোগদান করেছি। ব্রিজের দুই পাশে সরকারি কোনো রাস্তা না থাকা ও সরকারি অর্থ অপচয়ের বিষয়ে তিনি জানান, আগের স্যারকে দুষে লাভ কি, এখন স্থানীয় লোকদের বুঝিয়ে তাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে ব্রিজের সংযোগ সড়ক করতে হবে।

"