আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ২২ জুন, ২০২২

কর্মসৃজন প্রকল্পে পাল্টে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের চিত্র

বরগুনার আমতলী উপজেলায় অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (দ্বিতীয় পর্যায়ে) কর্মসৃজন প্রকল্প গ্রামীণ সড়ক সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। বেকারদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কর্মসৃজনে পাল্টে গেছে আমতলীর গ্রামীণ রাস্তাঘাটের চিত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত আমতলী উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন জানান, গুলিশাখালী, চাওড়া, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া, হলদিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, আমতলী সদরের সাতট ইউনিয়নে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মাটি দ্বারা রাস্তা তৈরি, কালভার্ট নির্মাণ, বক্স কালভার্ট, পাইপ কালভার্ট নির্মাণ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় ৮৬৪ বেকার ব্যক্তি উপকারভোগী হিসেবে সুবিধা পেয়েছেন। উপকারভোগীরা মজুরি হিসেবে প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে ৪০ দিন এ সুবিধা গ্রহণ করেন। প্রত্যেক উপকারভোগী সদস্য নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিজেদের নামে জমা হওয়া টাকা উত্তোলন করবেন।

চাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, অতিদরিদ্র পরিবারের অক্ষম লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের কর্মসৃজন প্রকল্প একটি যুগান্তকারী কর্মসূচি। এ কর্মসূচি চালু হওয়ায় এলাকার শত শত বেকার পরিবারের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু তাই নয়, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারসহ ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টুঙ্গা থেকে রামজিরহাট আজিজ হাওলাদার পর্যন্ত একই ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের মোছলেম আলী তালুকদারের বাড়ি থেকে পূর্বচিলা হাসানিয়া মাদরাসা হয়ে ছত্তার হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তাটি বিগত ১০ বছরে কোনো রকম সংস্কার হয়নি। রাস্তা দুটিতে জনসাধারণের একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক ৪০ দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় কিস্তিতে এ রাস্তা দুটি সংস্কার করায় স্থানীয় জনসাধারণের ভোগান্তি শেষ হয়েছে। উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় সাত ইউনিয়নের ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প গত ৮ জুন ২৫ দিনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সময় বাড়ানো না হলে বাকি দিনগুলোর টাকা ফেরত যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে অতিদরিদ্র পরিবারগুলো। এ প্রকল্পের হতদরিদ্র উপকারভোগী সদস্যদের মাঝে দৈনিক মজুরি হিসেবে ৪০ দিনের বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৩৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা ৮ কিস্তিতে নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করার কথা থাকলে এখনো শ্রমিকদের কোনো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে আমতলী ইউএনও একেএম আবদুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন ও সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে কমিটি রয়েছে। সরকারি সাত কর্মকর্তা ইউনিয়নভিত্তিক ট্র্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close