শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

  ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কেন্দ্রে

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আবদুল কুদ্দুস মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের পর থেকেই সিজারিয়ান বন্ধাকরণ, রোগীদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেক টিএ/ডিএ বিলের জন্য তিনি কমিশন নেন ৪০-৫০ শতাংশ। এছাড়াও রয়েছে রিক্রিয়েশন বিল থেকে কমিশন রাখার অভিযোগ। বন্ধাকরণ রোগী প্রতি ২৩শ’ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিনি কোন কোন রোগীকে ১৮শ’ টাকা আবার কোন রোগীকে ২ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করছেন। তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, রোগীকে বিল কম দিয়ে তিনি খাতায় ২৩শ’ টাকাই লিখে রাখেন। গত দেড় মাস আগে বন্ধাকরণ করতে আসা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের হায়দার খালাসীর স্ত্রী সীমা বেগম বলেন, আমাকে সই দিতে বলে দুই হাজার টাকা দিছে। ওখানে কত টাকা করে দেয় তা আমি জানিনা। দত্তপাড়া ইউনিয়নের তালুকদারকান্দি গ্রামের মালেক মোল্যার স্ত্রী জাহানা বেগম বলেন, ‘আমি অফিসে যাওয়ার পর এই লোকটি (আবদুল কুদ্দুস) বলেন তুমি তো অনেক আগে সিজার করেছো কোন টাকা পাবে না। তার পরে আমি এক ক্লিনিকের আপাকে নিয়ে যাই তার পরে তিনি বললে আমাকে দুই হাজার টাকা আর একটি শাড়ি দেন।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত কুদ্দুস মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঝে মাঝে দুই একজন রোগীর এরকম হতে পারে। পরে তার কাছে এসকল বিষয়ে আরো তথ্য চাইলে তিনি তা দিতে অস্বিকৃতি করেন। এ বিষয়ে জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম সরোয়ার বলেন, সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগ দুঃখজনক। যদি এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close