মাজহারুল ইসলাম মিশু, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

  ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা!

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার মধ্যবর্তী গুদারিয়া নদীতে তৈরি ২০০ ফুট বাঁশের সাঁকোয় পার হয় ১১টি গ্রামের মানুষ। স্থানীয়ভাবে মিলনবাজার বাঁশের সাঁকো নামেই পরিচিত। হালুয়াঘাট উপজেলা সীমান্তবর্তী বিলডোরা ইউনিয়ন ও ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের সংযোগস্থল এটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সেতু না থাকায় ওই দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে প্রকৌশল বিভাগ বলছে, এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানোই হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাঁকোসংলগ্ন মিলনবাজার এই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় কেন্দ্র। ফলে ব্যবসাসহ পারস্পারিক যোগাযোগের জন্য প্রতিনিয়তই এই সাঁকো পার হতে হয়। এজন্য নদী পাড়ের মানুষ বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে কিছুদিন পরপর সাঁকো মেরামত করেন। কিন্তু বর্ষায় পানির তোড়ে ভেঙে যায় সাঁকো। তখন নৌকা ছাড়া নদী পার হওয়া যায় না।

স্থানীয়রা জানান, নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতি আসে, কিন্তু নদীর ওপর আর কোনো সেতু হয় না। এই সাঁকো দিয়ে খামারবাসা উচ্চবিদ্যালয়সহ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, দুটি হাট-বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাসহ হাজারো মানুষ চলাচল করে।

স্থানীয় কৃষক জমশের আলী বলেন, সেতু না থাকায় নদীর পূর্বপাড়ের কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য সময় মতো হাটে আনতে পারেন না। নৌকায় করে বাজারে পণ্য আনতে অনেক খরচ বেড়ে যায়। নদীর পশ্চিমপাড়ের বটগাছিয়াকান্দা গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, একজন অসুস্থ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাব তার উপায় নেই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হতে হয়। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে। খামারবাসা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র আল আমিন বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে আসার সময় ভয়ে ভয়ে সাঁকো পার হই। এখানে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বিলডোরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি উপজেলায় সেতু নির্মাণের জন্য একাধিকবার বলেছি। কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য।

বিষয়টি জানতে চাইলে উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান বলেন, আমরা এখানে সেতু বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়নি। হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ সাগর বলেন, আমি নতুন এসেছি। এই বাঁশের সাঁকোর বিষয়ে আমি অবগত নই। সরেজমিন গিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close