রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হকার্স মার্কেটে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল রবিবার দুপুরে গুলিস্তানের হকার্স মার্কেটের অবৈধ অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান বিষয়ে সিটি করপোরেশন বলছে, এই মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বিষয়টি অবগত করে বারবার দোকান মালিকদের নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কেটের দোকান মালিকরা বলছেন, উচ্ছেদ অভিযানের আগে কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি।

দুপুরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পরই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে সিটি করপোরেশনের বিশেষ যান্ত্রিক গাড়ির মাধ্যমে মার্কেটের সামনে অংশের দোকানগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে মার্কেটের ভেতরের দোকানগুলোও ভাঙা হয়।

মার্কেটে সিটি করপোরেশনের অভিযান বিষয়ে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, দোকান মালিকদের আমরা বারবার নোটিস দিয়েছি, দোকানগুলো ফাঁকা করে দিতে বলেছি। তারা কথা শোনেনি। এরই ধারবাহিকতায় আমরা এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা এখানে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করব।

মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক বলজুল রহমান বলেন, আমাদের দাবি ছিল এখানে ভালোভাবে মার্কেট নির্মাণের, সিটি করপোরেশন আমাদের দাবি শুনেছে। উচ্ছেদ অভিযান চলছে এরপর মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এখানে মার্কেট হওয়ার পর সবাই লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ পাবে।

তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন এই মার্কেট উচ্ছেদের জন্য আমাদের বারবার নোটিস দিয়েছে, আমরা দাবি জানিয়েছিলাম রমজান মাস, ঈদ পর্যন্ত আমাদের সময় দেওয়া হোক। তারা আমাদের দাবি মেনে ঈদের এ উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে।

অন্যদিকে দোকান মালিকদের অনেকেই অভিযোগ জানিয়ে বলছেন, তারা ঈদের পর গতকাল এসে মার্কেট ভাঙার বিষয়টি জেনেছেন। এর আগে মার্কেট ভাঙবে বলে তারা খবর জানতেন না। কেউ কেউ মালামাল সরিয়ে পারলেও বেশিরভাগ দোকানি সব মালামাল সরিয়ে নিতে পারেনি বলেও দাবি তাদের।

আরিফুজ্জামান নামের একজন দোকান মালিক বলেন, আমরা জানতাম না দোকান ভেঙে দেবে। গতকাল হঠাৎ জানানো হলো আজ এসে দোকান ভাঙছে সিটি করপোরেশন।

মার্কেটে ফারহান স্পোর্টস নামক একটি দোকানের মালিক সবুর হোসেন বলেন, আমার দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে অথচ আমি কোনো নোটিস পাইনি। যাদের দোকান ভাঙা হলো এখন এদের কি হবে? মার্কেট কমিটির লোকরা জানলেও আমরা কেউ জানতাম না, মার্কেট কমিটি এখান থেকে সুবিধা নেবে। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হলাম আমরা।

"