নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ অক্টোবর, ২০২১

রাজধানীর খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধে বসছে সিসি ক্যামেরা

অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে

খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, খালে বর্জ্য নিক্ষেপকারীদের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ‘১০টা ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগান বাস্তবায়ন এবং রামচন্দ্রপুর খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খালটির দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি ভবন পরিদর্শনকালে সেগুলোর কোনোটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়োবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, খাল কোনো ডাস্টবিন নয়, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য নিক্ষেপের স্থান?ও নয়, এটি জলাধার। তাই কোনো সচেতন নাগরিক খাল কিংবা অন্য কোনো জলাশয়ে বর্জ্য নিক্ষেপ করতে পারে না। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেভেলপার কোম্পানিগুলোও বিল্ডিং ডেভেলপ করার পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য?ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ডিএনসিসি এলাকায় খালগুলোর সীমানা নির্ধারণ করা হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, অবৈধভাবে খাল দখল করে যেসব স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, বিনা নোটিসেই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতেই মোহাম্মদপুর এলাকায় মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত নকশাবহির্ভূত ভবনের অংশবিশেষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে রাস্তা থেকে উচ্ছেদ করা হয়। তিনি আরো বলেন, সবাই মিলে সবার ঢাকাকে দখল ও দূষণমুক্ত করে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় পরিণত করতে হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরীফ উল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close