নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ আগস্ট, ২০২০

উত্তরা-তেজগাঁও সড়ক

১০ ইউটার্নের কাজ এ বছরই শেষ হবে : মেয়র আতিক

চার বছর থমকে থাকার পর আবার শুরু হয়েছে ঢাকা উত্তর থেকে তেজগাঁও সড়কের ইউটার্নের নির্মাণকাজ। আগের পরিকল্পনায় ১১টি ইউটার্ন হওয়ার কথা থাকলেও, এখন হবে ১০টি। নির্বিঘেœ যানবাহন ছুটে যাবে গন্তব্যে। থাকবে না লাল বাতির নির্দেশনা। থ্রিডি অ্যানিমেশনে ২০১৬ সালে এমন রূপকল্প ঢাকাবাসীর সামনে এনেছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। কাজও শুরু হয়েছিল। কথা ছিল ঢাকার উত্তর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এ পথে করা হবে এমন ১১টি ইউটার্ন। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে যায় সে কাজ। চার বছর পর আবার শুরু হয়েছে তা।

গতকাল মঙ্গলবার সে কাজের পরিদর্শনে গিয়ে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে এই প্রকল্প। উত্তরা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ইউলুপের কাজ শেষ হলে এই পথের ৭০ শতাংশ যানজট কমে যাবে বলেও আশা করেন মেয়র আতিক।

তিনি বলেন, ঢাকার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যাতায়াতে কয়েকটি মোড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আমরা সেই যানজট দূর করার উদ্যোগ নিয়েছি। কোনো ধরনের ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়াই এই উত্তরা থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত যানবাহন চলবে। এই সড়কে ১১টি ইউলুপ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এখন ১০টি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এগুলো হচ্ছেÑ উত্তরা রাজলক্ষ্মী, উত্তরা র‌্যাব-১ অফিসের সামনে, কাওলা, বনানী ওভারপাসের নিচে, বনানী কবরস্থান ও কাকলী মোড়ের মাঝখানে, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী, মহাখালী মোড়, মহাখালী বাস টার্মিনাল, নাবিস্কো মোড় ও বিজি প্রেস অফিস। এই পথের সবখানে রাস্তার প্রস্থ এক নয়। সেখানে কীভাবে সম্ভব হবে এমন বড় ইউটার্নের? এর জবাব দেন উত্তর সিটির প্রধান প্রকৌশলী। তিনি জানান, যে জায়গায় সরু আছে সে জায়গায় বি-টাইপ ইউলুপ হবে। এ-টাইপের জন্য প্রশ্বস্ত জায়গা লাগে। বি-টাইপের জন্য সরু জায়গা হলেও চলে। এই প্রকল্পে আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৪ কোটি টাকা। এখন এটি হয়েছে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর যানজট কমাতে সাতরাস্তা, কোহিনূর কেমিক্যাল মোড়, মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী ফ্লাইওভার, বনানী চেয়ারম্যানবাড়ী, বনানী কবরস্থান, বনানী ওভারপাস, কাওলা, উত্তরার র‌্যাব-১ অফিসের সামনের সড়ক এবং জসিমউদ্দিন সড়কের সামনেসহ ১১টি ইউটার্ন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের ইউটার্নটি হচ্ছে না। ইউটার্ন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর এসএম কনস্ট্রাকশনস নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয় ডিএনসিসি। কিন্তু জমি অধিগ্রহণসহ কয়েকটি জটিলতায় নির্মাণকাজ থমকে ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close